কালিগঞ্জের ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান ও আগামী ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী শওকাত হোসেনের পিতাকে রাজাকার হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। রোববার (৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় ধলবাড়িয়ার গোবিন্দপুর মোড় নামক স্থানে এই কর্মসূচি পালিত হয়। ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল গফফারের সভাপতিত্বে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কোরবান আলী, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম শওকত হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চন্ডিচরণ মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নরেন মন্ডল ও ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকাত হোসেন। বক্তারা বলেন, ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন গাজী খোরশেদ আলমের চাচা এলেমুদ্দীন গাজী। আওয়ামী লীগের আদর্শে গাজী খোরশেদ আলম ৫ বার অর্থাৎ ২৫ বছর ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। গাজী খোরশেদ আলমের মৃত্যুর পর তার ছেলে গাজী শওকাত হোসেন ২০০৩ সালে ও ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের সমর্থনে উপজেলা বিএনপি'র সভাপতিকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা গাজী শওকাত হোসেনকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেন এবং তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি সৎ ও যোগ্য হওয়ায় উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২২ নভেম্বর গাজী শওকাত হোসেনকে পুনরায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান। কিন্তু ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জীর নেতৃত্বে তার সহযোগিরা অভিনব কায়দায় মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগে মানববন্ধন করে মনোনয়ন বোর্ডের কাছে গাজী শওকাত হোসেন রাজাকার পুত্র বলে ভুল তথ্য দেন। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে তার মরহুম পিতা গাজী খোরশেদ আলমকে রাজাকার হিসেবে আখ্যায়িত করে দলীয় সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। অথচ গাজী খোরশেদ আলম রাজাকার ছিলেন না। রাজাকারের তালিকায় মৌতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ খোরশেদ আলমের স্থানে তঞ্চকতা করে তার পিতা খোরশেদ আলমকে দেখানো হয়েছে। বীরমুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ গাজী খোরশেদ আলমকে একজন মানবিক ব্যক্তি ও সমাজসেবক হিসেবে আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ সময় তারা ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সজল মুখার্জীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বিপুল সংখ্যক নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।