বগুড়া গাবতলীর দূর্গাহাটায় রহস্যজনক ১০টি দোকানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরেররা ওই দোকানগুলো থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৬ নভেম্বর গভীর রাতে বগুড়ার গাবতলী দুর্গাহাটা হাইস্কুল মার্কেটে। জানাগেছে, দূর্গাহাটা মার্কেটে জুয়েলারী, ফার্নিচারসহ বিভিন্ন প্রকার শতাধিক দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনের ন্যায় রাতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকান বন্ধ করে বাড়ী চলে যায়। দোকানে লাগানো সিসি ফুটেজ এ দেখাযায় গভীর রাতে ২২থেকে ২৬ জনের একদল চোর মুখে কাপর বেঁধে ও মাস্ক লাগিয়ে মার্কেটের কাঁচিগেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে।
সংঘবদ্ধ চোরেরা প্রাং দেড় ঘন্টা যাবত মার্কেটের একের পর এক স্বর্ণের দোকানসহ ১০টি দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা, বিভিন্ন মালামালসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে করে নিয়ে যায়। খোয়া যাওয়া দোকানন্দার ও ব্যবসায়ীদের বর্ননানুযায়ী জানাযায়। নিউ আপন জুয়েলার্সের মালিক সাইদুর রহমানের সাড়ে ৪ লাখ টাকার সোনা-রুপা, ছানাউল ইসলাম ছানার সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজের পোনে ৭লাখ টাকার ২৪টি এলইডি মনিটর, ১৬টি রাইসকুকার ও ২টি ব্লেন্ডার, রুবেল সাকিদারের কাপড়ের দোকানে নগদ ১০হাজার টাকা ও প্রায় ১ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকার সিট ও তৈরী পোষাক,
পপি বেগমের দোকানের সাড়ে ৬০ হাজার টাকার কসমেটিক্স, সেলিম রেজার বেবি ফুড এ- টেলিকম সেন্টারে ১ লাখ ৩০হাজার টাকার মালামাল, মোকলেছার রহমানের বিকাশ’র দোকান থেকে ৮০ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকার মোইল ফোন, মানিকের কাপড়ের দোকানে আড়াই লাখ টাকার কাপড়, মেহেদী হাসানের সেন্ডেলের দোকানে ২০ হাজার টাকার জুতা সেন্ডেল, মুকুলের মোবাইল ফ্লেক্সির দোকানে দেড় লাখ ৩০হাজার টাকার ৭২টি মোবাইল নিয়ে গেছে। এতে ওই মার্কেটের ১০ টি দোকান থেকে প্রাং ৩০ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরোরা।
নৈশ প্রহরী লুৎফর রহমান জানান, সংঘবদ্ধ চোরেরা তাকে ভয়ভীতি দেখায়। সে কারণে তিনি মার্কেটের কাঁচিগেটের তালা খুলতে বাধ্যহন বলে দাবী করেন। তবে নৈশ প্রহরীদের প্রতি সন্দেহ করছেন মালামাল খোয়া যাওয়া দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ভোরবেলা চুরির বিষয়টি প্রকাশ হলে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মাঝে হৈচৈ পড়ে যায়। সংবাদ পেয়ে মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে মডেল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়া লতিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি ডাকাতি নয়, এটি পরিকল্পিত চুরি। মার্কেটের নৈশ প্রহরীর গেটের তালা খুলে দেয়ার বিষয়টি পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করছে। অতিদ্রুতই এই ঘঁনা সাথে জড়িতরা গ্রেফতার হবে এবং চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।