দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নে করোনাকালীন সরকারি ত্রাণ বিতরণে নানা অনিয়ম ও চরম দুর্ণীতির ব্যাপক অভিযোগ মানুষের মুখে মুখে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতি নিয়ে কতিপয় ইউপি সদস্য প্রতিবাদ ও দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। এমনকি সাংবাদিক ও ট্যাগ অফিসারদের উপস্থিতিতে অবাধে চালিয়েছেন নানা অনিয়ম।
দিঘলিয়া ইউনিয়নের লোকজন ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সবেক চেয়ারম্যান দিঘলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহলকে নিয়ে অনিয়ম ও দুর্ণীতির এক মজবুত ঘাঁটি তৈরি করেন। তিনি তাঁর গঠিত বেষ্টনী নিয়ে যেমনি ছিলেন নির্ভীক, তেমনি ছিলেন লাগামহীন ও বেপরোয়া। করোনা কালীন কঠোর লকডাউনের সময় কর্মহীন মানুষের মাঝে বিতরনের নগদ টাকা ও মালামাল বিতরণে, ভিজিডির মালামালের তালিকা তৈরি ও বিতরণে অনিয়ম, ভিজিএফের সুবিধাভোগিদের তালিকা তৈরি ও মালামাল বিতরণে, ইউপি সদস্যদের প্রাপ্ত অনারিয়াম না দেওয়া, ইউনিয়ন পরিষদের অর্জিত ট্যাক্স ও অনুদান সমন্বয়ে গঠিত বাজেটের অর্থ যথারীতি ব্যয় না করে নয়ছয় করা, সৃজনশীল কাজ না করিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা, করোনা কালীন কর্মহীন মানুষের মাঝে বিতরণ যোগ্য নগদ টাকা ভূয়া মোবাইল নম্বর দিয়ে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা, সুবিধাভোগিদের গভীর নলকূপ, সরকারি ঘর, ভিজিডি কার্ড, বয়ষ্কভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নগদ টাকা গ্রহণের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি যারা সমিতির সদস্য হবে তারাই শুধু ত্রাণ পাবে, সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবে এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে সাধারণ খেটে খাওয়া গরীব মানুষের কাছ থেকে দালালদের মাধ্যমে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে, যে সমিতির কোন ভিত্তি নেই। যা তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। অর্থ ও চামচাদের কারণে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে একই পরিবারের মার নামে, বোনের নামে, স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ড করা হয়েছে। এমনকি কার্ড একজনের নামে সুবিধা ভোগ করেছে অপর জনে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ফিরোজ হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা এতই বেপরোয়া ছিল যে, কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করত না। এমনকি চেয়ারম্যানকে সময়মত ও নিয়মমত পরিযদে না এসেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে মানুষ পায়নি তাদের সেবা। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে প্রকল্পের কাজ শেষ না করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূয়া প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ মানুষের মুখে মুখে। ওই চেয়ারম্যান মোল্লা ফিরোজ হোসেন এতই বেপরোয়া ছিলেন যে, তিনি সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনীতিক, সামাজিক ব্যক্তিদের সাথেও তিনি ও তাঁর সমর্থকরা খারাপ আচরণ করছেন। যা বিভিন্ন সময় নানা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ফিরোজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ওই সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ফিরোজ হোসেনের নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির তদন্তের দাবী দিঘলিয়া ইউনিয়নের সকল মহলের। পাশাপাশি তদন্তের দাবী ভিজিডি কার্ডের ও করোনাকালীন দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদানকৃত নগদ টাকাসহ সকল মালামালের একাধিক তালিকা।