২০১৮ সালের ৮ আগস্টখুলনার পাইকগাছা কলেজকে সরকারিকরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারি কলেজের তালিকাভুক্তির তিন বছর পার হয়েছে। অথচ এখনো কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীরা। পুরোনো অবকাঠামো দিয়েই চলছে কলেজ। কলেজ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কলেজে ২ হাজার ১৬৩ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তাদের জন্য রয়েছে ৫৪ জন শিক্ষক। এর মধ্যে অনার্স কোর্সের রয়েছেন ১৯ জন। তবে অনার্সের শিক্ষকেরা এমপিও তালিকায় আসেননি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল বলেন, অবকাঠামোর অভাবে পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ সরকারের বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে এ কলেজ ব্যবহার হয়। সে সময় অবকাঠামোর অভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। একদিকে শিক্ষক সংকট অন্য দিকে অবকাঠামোর অভাবে মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। কলেজের অন্যান্য শিক্ষকেরা জানান, কলেজটি শুধু নামটি সরকারিকরণ করা হয়েছে। আর্থিক বিষয় কোনো সরকারিকরণ করা হয়নি। সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা এখানে নেই। যশোর বোর্ড কর্তৃপক্ষ সরকারি অনুমতি দিলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। একটি সরকারি কলেজের ছাত্রদের বেতন প্রতি মাসে ২৫ টাকা। কিন্তু আমাদের বেতন প্রতি মাসে ৪০০ টাকা। এটি বেসরকারি কলেজের বেতনের সমান। এ নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা বেতন কমানোর জন্য কলেজ সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছেন। অধ্যক্ষ আরও জানান, আমরা এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়েছি, যেখানে না পাচ্ছি সরকারি সুযোগ-সুবিধা, না পাচ্ছি বেসরকারি সুবিধা। এসব কারণে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কলেজের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী ও অবিভাবকরা।