খুলনার পাইকগাছায় প্রেমিকাকে খুশি করতে কলেজছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। প্রেমিকা প্রেমিক ফয়সালের কাছে বায়না করে মোটরসাইকেল কেনার জন্য। দু’জনে মোটরসাইকেলে ঘুরবে, ভালবেসে আনন্দ করবে। কিন্তু সেই টাকা জোগাড় করতে একজন নিরীহ কলেজছাত্রকে প্রাণ দিতে হল। প্রেমিকার আবদার মেটাতে কলেজছাত্রকে অপহৃরণ করে মুক্তিপন দাবী। অতপর খুন করে লাশ কপোতাক্ষ নদে ফেলে দেয় খুনি ফয়সাল। ঘটনাটি উপজেলার আগড়ঘাটা কপোতাক্ষ নদের তীরে। ১৭ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ খুনিকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। থানা ওসি জিয়াউর রহমান জানান, উপজেলার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান সরদারের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ (২২) একটি মেয়েকে ভালোবাসে। মেয়েটি বায়না ধরে (জ-১৫) মোটরসাইকেল কেনার জন্য। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব ছিলো না ফয়সালের। সে পরিকল্পা করে শ্যামনগরের সুরমান গাজীর ছেলে আমিনুরকে অপহরণ করে। গত রোববার রাত ৯টার দিকে কপোতাক্ষ নদের তীরে পানিওর সাথে ঘুমের ওষুধ পান করান আমিনুরকে। পর সে অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় আগে থেকে লুকিয়ে রাখা দা দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে কপোতাক্ষ নদে ফেলে দেয়। জবাইকৃত যায়গায় রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। ফয়সাল মৃত আমিনুরের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে তার পিতার নিকট জানায় ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ছেলেকে পেতে হলে ১০ লক্ষ টাকা লাগবে। তখন উপায়ন্তর না পেয়ে আমিনুরের পিতা টাকা দিবেন বলে স্বীকার করে। তখন অপহরণকারী ফয়সাল টাকা নিয়ে পাইকগাছা শিববাটী ব্রিজের নিকট আসতে বলে। তার কথামত টাকা নিয়ে ব্রিজের নিকট টাকা পৌঁছে দেয়। আগে থেকে ওৎপেতে থাকা পুলিশ ও জনতা তাকে টাকা সহ হাতেনাতে আটক করে। তার স্বীরোক্তিতে সোমবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদে লাশ খোঁজাখুঁজি পরেও লাশের সন্ধান মেলেনি। খুনের ব্যবহৃত দা কপোতাক্ষ নদে ফেলে দিয়েছে বলে ফয়সাল স্বীকার দিয়েছে।