লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া মো: গোলাম ফারুক পিংকুকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সল আহমেদ রতনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, মামলায় উচ্চ আদালত ফয়সল আহমেদ রতনকে চার সপ্তাহের জামিন দেন। মেয়াদ শেষ হলে তিনি লক্ষ্মীপুর জজ ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। এতে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি রতন কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২১ জুন দুপুরে প্রথম ধাপে ইউপি নির্বাচন চলাকালে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুক পিংকু তার ব্যাক্তিগত গাড়ি নিয়ে সাংগঠনিক কাজে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। পথে তোরাবগঞ্জ বাজার পৌঁছলে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ফাটায়। এতে পিংকু গাড়ি থেকে নামতেই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়। তিনি সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। এ সময় তার প্রাডো গাড়ির চারপাশ ভাঙচুর করায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। হামলায় গোলাম ফারুক পিংকুসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এঘটনা পর রতনকে প্রধান ও কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পিসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা আরো ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা পিংকুর গাড়িচালক নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে কমলনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এরপর থেকেই রতন ও বাপ্পী পলাতক ছিলেন। পরে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন।
আদালতে হাজিরা দিতে এসে ফয়সল আহমেদ রতন সাংবাদিকদের বলেন, হামলার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা-ও জানতেন না। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তিনি মামলায় ন্যায় বিচার দাবী জানিয়েছেন।