বীমার মেয়াদ তিনবছর অতিবাহিত হওয়ার পরও মেয়াদোত্তর বীমা দাবির চেক না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বরিশালের গৌরনদী উপজেলার উত্তর সরিকল গ্রামের সাতজন গ্রাহক।
ওই গ্রামের রুনু বেগম, রেখসোনা বেগম ও মেরুনা বেগম জানান, ২০০৮ সালে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সরিকল ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সোহাগ মিলনের মাধ্যমে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সে মাসিক প্রিমিয়াম কিস্তি একশ’ টাকা করে ১০ বছর মেয়াদী বীমা করেন। ২০১৮ সালে বীমার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদের কাছ থেকে বীমার বই নিয়ে যায় ম্যানেজার সোহাগ মিলন। বই নেয়ার তিন বছর অতিবাহিত হলেও তাদেরকে বীমার দাবীর চেক দেয়া হচ্ছেনা। তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, সোহাগ মিলনের কাছে বীমার চেকের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেই সে বিভিন্ন ধরনের হুমকিধামকি দিয়ে যাচ্ছেন।
ওই গ্রামের গফুর আলী খানের স্ত্রী রাহিমা বেগম জানান, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সোহাগ মিলনের মাধ্যমে মাসিক প্রিমিয়াম কিস্তি একশ’ টাকা করে জমা দিয়েছি। বীমার মেয়াদ তিন বছর পার হলেও মূলধন ফিরে পাচ্ছিনা।
ভুক্তভোগী ফজিলা বেগম জানান, সোহাগ মিলনের মাধ্যমে মাসিক একশ’ টাকা করে দশ বছর মেয়াদী বীমা করলেও ২৬ মাস টাকা জমা নেয়ার পর আর টাকা জমা নেয়নি সোহাগ। এরপর বীমার মেয়াদ শেষ হলেও মূলধন ফেরত পাচ্ছিনা।
ওই গ্রামের শহিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেন, তার মা রাবেয়া বেগম সোহাগ মিলনের মাধ্যমে মাসিক দুইশ’ টাকা করে জমা দিয়েছেন। বীমার মেয়াদ তিনবছর আগে শেষ হয়েছে। চলতি বছর তার মা মৃত্যুবরন করলেও বীমার টাকা উত্তোলন করে যেতে পারেননি। ওই গ্রামের জিয়াউর রহমান খান জানান, একশ’ টাকা করে ৩৯ মাস টাকা জমা নেয়ার পর আর টাকা নেয়নি সোহাগ। বীমার বই ও টাকার রিসিভ সবই তার কাছে জমা রয়েছে। বীমার টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করে আসছে সোহাগ। বীমা দাবীর টাকা ফেরত পেতে তারা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সরিকলের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সোহাগ মিলন জানান, আমার বিরুদ্ধে গ্রাহকরা যেসব অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। ইতোমধ্যে অনেক গ্রাহক তাদের বীমা দাবীর চেক হাতে পেয়েছেন। এছাড়াও যারা বাকী আছেন তাদের বীমা দাবীর টাকা পাইয়ে দেয়ার জন্য বইসহ যাবতীয় তথ্য বরিশাল ব্রাঞ্চ অফিসে জমা দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বরিশালের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হারুন অর রশিদ জানান, কোম্পানীর জটিলতার কারণে গ্রাহকদের বীমার টাকা ফেরত পেতে দেরি হচ্ছে। তবে প্রত্যেক গ্রাহক তাদের টাকা ফেরত পাবেন।