প্রায় ৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনার বেতগ্রাম থেকে পাইকগাছা হয়ে কয়রা পর্যন্ত প্রধান সড়কের উন্নয়ন করা হচ্ছে। শালিকা থেকে আমাদী পর্যন্ত ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী খনন করা হচ্ছে। বাইনতলা ও গিলাবাড়ী ব্রিজ অনুমোদন হয়েছে। দারুণমল্লিক ব্রিজ হলে খুলনার সাথে যোগাযোগ সহজ হয়ে যাবে। ঘোষখালী নদীর ওপর এলাকাবাসী একটি ব্রিজ চেয়েছিল সেখানে ৩টি ব্রিজ করা হচ্ছে। এটাই আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন। এলাকার মানুষ বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। এজন্য সদ্যসমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এলাকার মানুষ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে। খুলনা-৬ এমপি বাবু বলেন, এলাকায় কিছু দুষ্ঠু লোক থাকে, যাদের কাজ অপপ্রচার করা। এ ধরণের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া করার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। ১০ নভেম্বর বুধবার ঘোষখালী নদীর উপর ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন কালে তিনি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম কেরু, উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান খান, ইউপি সদস্য অচিন্ত সরদার, আক্তার হোসেন গাইন, আইয়ুব আলী সরদার, বিকাশ চন্দ্র মন্ডল, নাছিমা আক্তার, শিউলী পারভীন, আব্বাস আলী মোল্লা, যমুনা রানী বৈদ্য, রমেশ চন্দ্র বর্মন, সরত, গাউস, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএম আরেফিন, যুবলীগনেতা মানবেন্দ্র মন্ডল, জেলা ছাত্রলীগনেতা পার্থপ্রতীম চক্রবর্তী ও ফয়সাল হোসেন। উল্লেখ্য, গড়ইখালী ইউনিয়নের আমিরপুর-হোগলারচক ও উত্তর বাইনবাড়ীয়া এলাকায় ঘোষখালী নদীর ওপর ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭২ মিটার দৈর্ঘের ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্রিজটি নির্মিত হলে অত্র এলাকার উৎপাদিত তরমুজ ও অন্যান্য সবজি সহ কৃষি এবং মৎস্য সরাসরি সরবরাহ করা সহজ হবে। এতে এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। এলাকার গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।