মণিরামপুর উপজেলার পৌর শহরের প্রতিটি রাস্তা ঘাট জুড়ে নিয়েছে আলমসাধু, অটোভ্যান, ইজিবাইক ও ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেল। এসব যানবহনের করণে বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। উপজেলা প্রশাসন যানজট মুক্ত রাখার জন্য অনেক বার মাইকে প্রচার ও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কোন প্রতিকার হয়নি। পৌর শহর বাজারে মধ্যে রাস্তার দু’পাশে এসব যানবহন পার্কিং করার কারণে সাধারণ মানুষের যে দুর্ভোগ দেখার কেউ নায়। বর্তমান প্রশাসন নিরব বলে অভিযোগ।
সরেজমিন দেখাযায়, মণিরামপুর পৌর শহর রাজগঞ্জ মোড় ব্যস্ততম জায়গা। এখানে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভাড়াটিয়া ১৫ থেকে ২০টি ম্ােটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোভ্যান, বাস গাড়ী ও পূরবী হলের সামনে বিভিন্ন যানবাহন অহেতুক ভাবে দাড়ানোর কারণে যানজট লেগে থাকে। উপজেলায় বর্তমান ৩০ থেকে ৩৫ হাজার আলমসাধু, অটোভ্যান ও ইজিবাইক অবৈধভাবে চলাচল করছে।
এসব যানবহনের চালকদের কোন ড্রাইভিং প্রশিক্ষন ছাড়াই কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা নিজেদের ইচ্ছেমতো প্রতিটি গ্রামের রাস্তাঘাট দখল করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যে কারণে পৌর শহরসহ বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা দিয়ে ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে তারা। এর ফলে নিত্যদিন উপজেলায় কোন-না-কোন স্থানে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এসব দূর্ঘটনায় অনেকেই পঙ্গু হয়ে জীবন যাপন করছে।
কয়েক দিন পূর্বে মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসন পৌর শহর মেইন রাস্তায় যানজট মুক্ত রাখার জন্য মাইকিং এবং অনেক বার প্রচার ও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেও কোন প্রতিকার হয়নি। বাস ষ্ট্যান্ডের জন্য প্রশাসন নিধারিত স্থান ঠিক করে দিয়েচ্ছে দক্ষিন মাথা ও উত্তর মাথায়। কিন্তু কোন বাস চালক তা না মেনে রাজগঞ্জের মোড় ও পূর্বরী হলের সামনে প্রতিটি বাস ১৫ থেকে ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। এমনকি পিছন দিক থেকে আরেকটি বাস আসার আগ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা বাসটি ছাড়েনা।
রাজগঞ্জ মোড় ও পূর্বরী হলের সামনে সব সময় একটি করে বাস দাঁড়িয়ে থাকার কারণে একের পর এক যানজট লেগেই থাকে। প্রশাসনের কথা না মেনে বর্তমান নেহলপুর রাস্তার ইজিবাইক চালকরা রাজগঞ্জের মোড় থেকে যাত্রী ও কুয়াদা রাস্তার ইজিবাইক চালকরা হাকোবা মোড় থেকে যাত্রী নেওয়ার জন্য মেইন রাস্তা দখল করে বসে থাকে তারা। বর্তমান উপজেলায় প্রশাসেন কোন ভূমিকা না থাকায় চালকরা নিজেদের উচ্ছা মতো চলা ফেরা করছে।
যশোর জেলা শ্রমিকলীগ সহ-সভাপতি বাবুল করিম বাবলু বলেন, যানজট হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে মণিরামপুরে মেইন রাস্তার দু’পাশে জায়গা কম এবং রাস্তার দু’পাশ দিয়ে অটোভ্যান, ও ইজিবাইক দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তার দু’পাশে কোন যানবহন যদি না থাকে তাহলে যানজট কিছুটা মুক্ত হবে। পৌর শহরের মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোভ্যান ও বাস নিধারিত স্থানে না দাঁড়িয়ে রাজগঞ্জ মোড়ে ও পূর্বরী হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আমি কোন কমেন্ট বা মন্তব্য দিবো না। তবে, অনেক চেষ্টা করেছি সড়কের যানজন মুক্ত করতে।