দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় জোড়া খুনের ঘটনায় নিজ পূত্র সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ডাকাতি নয়, সম্পত্তির লোভেই ছেলে খুন করেছে বাবা-মাকে। গত ৫ নভেম্বর শুক্রবার দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নির্শ্বা পলাশবাড়ী গ্রামের নিজ বাড়ীতে হাফিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফেন্সি আরা বেগমের হাত পা বাধা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে এই জোড়া খুন ডাকাতি বলে মনে হলেও ঘটনার এক সপ্তাহ পর পুলিশের তদন্তে বের হয়ে আসে প্রকৃত রহস্য। বৃদ্ধ বাবা মাকে সম্পত্তির জন্য তাদের বড় ছেলে আবদুল মতিন মিঠু হত্যা করে স্বর্ন, টাকা ও দলিল লুট করেছে বলে জানা যায়। ছেলে আবদুল মতিন মিঠুসহ মোট ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আরো দুইজন হলেন একই উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের রাজা মিয়ার পুত্র রাজন মিয়া ও এনামুল হকের পুত্র উজ্জ্বল হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হল রুমে একটি সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জানান, মুলত তার বাবার সম্পত্তির দলিল নেয়ার জন্যই বড় ছেলে আবদুল মতিন মিঠু তাদের হত্যা করেছে। মিঠুর ফুপাতো ভাই সুলতান মাহমুদের সাথে পরিকল্পনা করে সে এ ঘটনাটি ঘটায়। ৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে ৭ থেকে ৮জন দেয়াল টপকে বাসায় প্রবেশ করে প্রথমে বাবা হাফিজুল ইসলামকে হত্যা করে পরে মা টের পেলে তাকেও তারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। প্রথমে ঘটনাটি ডাকাতি বলে সাজানো হলেও পরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করে তাদের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উম্মোচন করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ছেলে মিঠুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপোর্দ করা হয়েছে। জড়িত অন্যন্যদের আটকের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের নির্শ্বা কাজলদীঘি গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে গত ৫ নভেম্বর শুক্রবার হাফিজুল ইসলাম (৭৫) ও স্ত্রী ফেন্সি আরা বেগম (৬০)এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ছোট ছেলে আবদুল মালেক বাদি হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় খুনসহ ডাকাতির একটি মামলা দায়ের করেন।