বাগেরহারে চিতলমারীতে আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এ যুব সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রথিতযশা সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃস্পতিবার ১১ নভেম্বর দিনব্যাপি চিতলমারী উপজেলা সদর একে ফায়জুল হক স্কুল মাঠে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে সকালে জাতীয়ও দলীয়দলীয় পতাকা উত্তোলন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি’র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং সকাল ১০টায় কেক-কাটা সহ বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলার প্রধান সড়ক গুলি প্রদক্ষিন করে। বিকাল চার টায় উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক, শেখ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মক্তিযোদ্ধা এ্যাড. হেমায়েত উদ্দীন ভুঁইয়া সাধারন সম্পাদক, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অশোক কুমার বড়াল সহ-সভাপতি, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ, মোঃ বাবুল হোসেন খান সভাপতি, চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ, পীযূষ কান্তি রায় সাধারন সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগ,সরদার নাসির উদ্দিন আহবায়ক, বাগেরহাট জেলা যুবলীগ, শাহনেওয়াজ মোল্লা দোলন যুগ্ন আহবায়ক, জেলা যুবলীগ ও মোঃ ফারুক তালুকদার যুগ্ন আহবায়ক, জেলা যুবলীগ বাগেরহাট।
আলোচনা শেষে গভীর রাত পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যেদিয়ে হাজারো নারী-পুরুষ দর্শক শ্রোতাকে বিনোদন দিতে স্টেজ মাতিয়ে তোলেন কন্ঠশিল্পী মনির খান ও ডলি সায়ন্তনী। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে করোনার ডেউ কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর এই বিনোদন হাজারো মানুষের প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। অনুষ্ঠানটি সিসিটিভির মনিটরিং এর মাধ্যমে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, চিতলমারী থানার ওসি এএইসএম কামরুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, চিতলমারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক এস এম মাহাতাবুজ্জামান।