কুড়িগ্রামের নাগেশ^রীতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই হস্তান্তরের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সজন ও এলাকাবাসী। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রায়গঞ্জ কলেজের সামন থেকে পাম্পমোড় পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে তারা। এ সময় যানবাহন ও পথচারী চলাচল বন্ধ থাকে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাছুম মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই হস্তান্তরের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভূরুঙ্গামারী-কুড়িগ্রাম সড়কের রায়গঞ্জ আলেপের তেপথি এলাকায় নৈশকোচের ধাক্কায় একই পরিবারের তিনজনসহ চার জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একজন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নিহতরা হলেন, নাগেশ^রী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম সাপখাওয়া এলাকার মৃত সমুদ্দি শেখের ছেলে অটোচালক জলিল সরকার ও পশ্চিম রায়গঞ্জ এলাকার শহিদুল ইসলাম (৩০) ও তার মেয়ে শিশু সুমাইয়া (৫) ও শহিদুল ইসলামের মা সুফিয়া বেগম (৬০)। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক শহিদুল ইসলালের স্ত্রী শাহানাজ বেগম। ঘাতক কোচ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাছুম জানান, গুরতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ যাওয়ার পথে যে দুজন মারা গেছেন তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছিল কিন্তু নিহতের স্বজনরা এটা চাচ্ছিলেন না। সড়ক দূর্ঘটনা নিয়ে তাদের কোন অভিযোগ নাই। তাদেরকে ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ দেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।