দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় নারী শ্রমিকেরা আজও সমপৃক্ত কৃষি সহ নানা কাজের সঙ্গে। স্বাল্বী হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে কেবল কৃষি কাজ নয়, এখানকার নারী নির্মানাধীন ভবনের ইট ভাঙ্গা থেকেই শুরু করেই ইট ভাটা, ধান কাটা, ধান মাড়াই ও কাপড়ের পুতুল তৈরীর মত নানা কাজ করছেন। তবে শ্রম দিলেও ন্যায্য মুজুরি না পাওয়ার ক্ষোভ রয়েছে তাদের।
কাহারোল উপজেলার পুর্ব সুলতানপুর গ্রামের নারী শ্রমিক বাসন্তি দেবশর্মা বলেন, ইট ভাটায় কাজ করি স্বামীর কামাই দিয়ে সংসার চালানোর কষ্ট হয়। তাই স্বামীর সঙ্গে তিনি নিজেও উপার্জনে জড়িত হন। আক্ষেপের সুরে অপর এক নারী শ্রমিক ছামসুন নাহার বলেন, একজন পুরুষ যতটুকু সময় দেই, আমরা নারীরাও ততটুকু সময় দেই। পুরুষ শ্রমিকেরা পায় ৩৫০টাকা আর আমরা নারী শ্রমিকেরা ১৫০ টাকা। অন্যদিকে সাহাপুর গ্রামের নারী শ্রমিক ইতি বালা বলেন, পুরুষের সং্েঙ্গ আমরা নারী শ্রমিকেরা কৃষকের ধান কাটা ও মাড়াই করি। পুরুষদের হাজিরা দেওয়া হয় ৫৫০ টাকা আর নারী শ্রমিকদের দেওয়া হয় ৪০০ টাকা। নারী শ্রমিকদের দাবি আমরা পুরুষের সমান কাজ করি কিন্তুু পুরুষের মত মুজুরি পাইনা। তারা বলেন, আমরা শ্রম দেই কিন্তুু সঠিক মুজুরি আমাদেরকে দেন না মালিকেরা। সচেতন মহলের দাবি এইজন্য নারী শ্রমিকদের সচেতন হতে হবে ও মালিকদেরও আন্তরিক হওয়া দরকার। তাহলে নারী শ্রমিকদের ন্যায্য মুজুরি থেকে বঞ্চিত হবে না।