দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত। এবং গত বছরের মতো এবারও ইউরোপ কোভিড-১৯ মহামারির কেন্দ্রস্থলে রূপ নিয়েছে। যে কারণে ইউরোপের কয়েকটি দেশের সরকার আসন্ন বড়দিনের কথা মাথায় রেখে আবারও অজনপ্রিয় ‘লকডাউন’ আরোপ করার কথা বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেবল টিকাই যথেষ্ট কি না, সে বিতর্ক নতুন করে আরও একবার আলোচনায় উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গত মাসে কোভিড সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাশিয়ায়। এক মাসে করোনায় ৪৪ হাজার মৃত্যু দেখেছে দেশটি। ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানির হালও সংকটজনক। কোভিডে এক লাখ মৃত্যু হতে পারে বলে এরইমধ্যে সতর্ক করেছে জার্মান সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গোটা ইউরোপকে ভুগতে হবে এই শীতে। আসছে বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোভিডে পাঁচ লাখ মৃত্যু হতে পারে এ মহাদেশে। আর এসব পূর্বাভাস মিলেও যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে সারা বিশ্বের মোট কোভিড সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি হয়েছে ইউরোপে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া ও রোমানিয়ায় নতুন করে সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ইউরোপে করোনায় মৃত্যু গত সপ্তাহে ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে নেদারল্যান্ডসে। অথচ সে দেশে ৮৫ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গেছে।
নেদারল্যান্ডসে সম্প্রতি এক দিনে ১৬ হাজার ৩৬৪ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। এ সংখ্যা মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ। এ অবস্থায় নেদারল্যান্ডস সরকার তিন সপ্তাহের জন্য আংশিক লকডাউন ঘোষণার পরিকল্পনা করছে। দেশটিতে অতি-প্রয়োজনীয় নয়Ñএমন সব কিছু বন্ধ রাখা হবে। বিভিন্ন খেলার টুর্নামেন্টও বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, অস্ট্রিয়া সরকার জানিয়েছেÑযাঁদের কোভিড টিকাকরণ হয়নি, তাঁদের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। অস্ট্রিয়ায় সম্প্রতি এক দিনে ১১ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। অস্ট্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে জার্মানি। জার্মানিতেও নতুন করোনা-বিধিতে জানানো হয়েছে, টিকা নেওয়া না থাকলে পানশালা, রেস্তোরাঁ বা কোনো বদ্ধ জায়গায় ঢোকা যাবে না।
এ ছাড়া নতুন সংক্রমণ ঢেউ থেকে বাঁচতে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু করছে নরওয়ে। যাঁরা এখনও টিকা নেননি, তাঁদের সপ্তাহে দুবার করোনার পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সরকার। নরওয়েতে ৮৭ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
ইউরোপ করোনাশীত আসন্ন, আবারও কোভিড মহামারির কেন্দ্রস্থল ইউরোপ
দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত। এবং গত বছরের মতো এবারও ইউরোপ কোভিড-১৯ মহামারির কেন্দ্রস্থলে রূপ নিয়েছে। যে কারণে ইউরোপের কয়েকটি দেশের সরকার আসন্ন বড়দিনের কথা মাথায় রেখে আবারও অজনপ্রিয় ‘লকডাউন’ আরোপ করার কথা বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেবল টিকাই যথেষ্ট কি না, সে বিতর্ক নতুন করে আরও একবার আলোচনায় উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গত মাসে কোভিড সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাশিয়ায়। এক মাসে করোনায় ৪৪ হাজার মৃত্যু দেখেছে দেশটি। ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানির হালও সংকটজনক। কোভিডে এক লাখ মৃত্যু হতে পারে বলে এরইমধ্যে সতর্ক করেছে জার্মান সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গোটা ইউরোপকে ভুগতে হবে এই শীতে। আসছে বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোভিডে পাঁচ লাখ মৃত্যু হতে পারে এ মহাদেশে। আর এসব পূর্বাভাস মিলেও যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে সারা বিশ্বের মোট কোভিড সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি হয়েছে ইউরোপে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া ও রোমানিয়ায় নতুন করে সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ইউরোপে করোনায় মৃত্যু গত সপ্তাহে ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে নেদারল্যান্ডসে। অথচ সে দেশে ৮৫ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গেছে।
নেদারল্যান্ডসে সম্প্রতি এক দিনে ১৬ হাজার ৩৬৪ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। এ সংখ্যা মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ। এ অবস্থায় নেদারল্যান্ডস সরকার তিন সপ্তাহের জন্য আংশিক লকডাউন ঘোষণার পরিকল্পনা করছে। দেশটিতে অতি-প্রয়োজনীয় নয়Ñএমন সব কিছু বন্ধ রাখা হবে। বিভিন্ন খেলার টুর্নামেন্টও বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, অস্ট্রিয়া সরকার জানিয়েছেÑযাঁদের কোভিড টিকাকরণ হয়নি, তাঁদের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। অস্ট্রিয়ায় সম্প্রতি এক দিনে ১১ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। অস্ট্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে জার্মানি। জার্মানিতেও নতুন করোনা-বিধিতে জানানো হয়েছে, টিকা নেওয়া না থাকলে পানশালা, রেস্তোরাঁ বা কোনো বদ্ধ জায়গায় ঢোকা যাবে না।
এ ছাড়া নতুন সংক্রমণ ঢেউ থেকে বাঁচতে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু করছে নরওয়ে। যাঁরা এখনও টিকা নেননি, তাঁদের সপ্তাহে দুবার করোনার পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সরকার। নরওয়েতে ৮৭ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে।