খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি সৈয়দ মোঃ শাহীনকে বাগেরহাট খানজাহান আলী (রঃ) এর মাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। দিঘলিয়া থানা পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ২ দিন অভিযান চালিয়ে শাহীনের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গত ৮ নভেম্বর রাত ২.৩০ মিনিটের সময় গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। অপরদিকে ধর্ষণের সাথে আরো কেউ জড়িত থাকলেও একটি মহলের অশুভ ষড়যন্ত্রে তলিয়ে যাচ্ছে তাদের নাম। যেমন ওই এলাকার বাসিন্দা মেয়ের তৎক্ষণিক স্বীকারোক্তি ও এলাকার লোকজনের দাবীতে সাহাদাত নামক ব্যক্তিকে রাতে গ্রেফতার করলেও পরদিন বিকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে গ্রেফতার করলেও বাদী সাহাদাতকে আসামি করেনি। তাই তাকে বাদীর জিম্মায় দেওয়া হয়েছে কিন্তু মামলা তদন্তাধীন। ধর্ষনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য কেউ জড়িত থাকলে কেউই পার পাবে না। উল্লেখ্য যে, ওই ধর্ষন ঘটনার সাথে জড়িত এলাকার একাধিক ব্যক্তির নাম শোনা যাচ্ছে। এদিকে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী ইতোমধ্যে একটি কন্যা সন্তানের মা হয়েছে। একটি ক্লিনিকে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে শাহীন গ্রেফতার হওয়ার পর এলাকায় নানা কথা শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে সামাজিক গোপন মিমাংসার নানা কথা। তবে বিজ্ঞমহলের দাবী পুলিশের অধিকতর তদন্ত ও ভুমিষ্ট শিশু ও ধর্ষক হিসেবে যাদের নাম আসছে তাদের আইনের আওতায় এনে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রকৃত ধর্ষককে চিহ্নিত করা। ইতোমধ্যে এলাকা থেকে শুধু শাহীন পালাইনি আরও অনেকে পালিয়েছে বলে এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ধর্ষিতাকে যে মেয়েটা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসত তাকে তার স্বজনরা এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে তড়িঘড়ি করে বিবাহ দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে বলেও এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে।
এদিকে এলাকাবাসী ও ধর্ষিতার প্রথম স্বীকারোক্তিতে যে শাহদাতকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সে তার ঘর-দরজা ভেঙ্গে নিরুদ্দেশ হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে পঞ্চম শ্রেণির শিশু ধর্ধনের কথা এলাকায় রাষ্ট্র হওয়ার পর থেকে শুধু শাহীন নয় আরও অনেকেই নিরুদ্দেশ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি সৈয়দ মোঃ শাহীন পঞ্চাশোর্ধ বয়সী। পিতা মৃত সালেহ আহন্মেদ। ২৫ বছর আগে বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থেকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ফরমাইশাখানায় স্ত্রী, দুই পুত্র ও পিতা-মাতাসহ বসবাস শুরু করে। চাকুরী করতো সেনহাটী সাগর জুট মিলে।কয়েক বছরের ব্যবধানে পিতা-মাতা মারা যান।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর সকালে দিঘলিয়ার ৭নং ওয়ার্ডের ফরমাইশখানার বাসিন্দা ধর্ষিতার হতদরিদ্র বাবা দিঘলিয়া থানায় হাজির হয়ে সৈয়দ মোঃ শাহীনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১, তাং ০১/০৯/২০২১। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর মেয়েকে গত ২ জানুয়ারী থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এদিকে ফরমাইশখানা ধর্ষণের সাথে আরো কেউ কেউ জড়িত আছে এমন সংবাদ প্রকাশের পর সাহাদাৎ ও ছরো খান এলাকা থেকে নিরুদ্দেশ হওয়ার কথা শোনা গেছে। পাশাপাশি চলছে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে আপোশ রফার গোপন ষড়যন্ত্র বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে। আসামি গ্রেফতারের পর ধর্ষিতার পিতার সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে। তিনি জানান, আমাদের কাজ আমরা করেছি। এখন পুলিশের যা করার করবে।