খুলনার বেতগ্রাম-পাইকগাছা ভায়া কয়রা আঞ্চলিক সড়ক প্রায় ৪’শ কোটি টাকা ব্যয় উন্নয়নের কাজ চলছে। সড়কটি সরলীকরণ বা সোজা করার কাজ বাকি রেখেই সংস্কার হচ্ছে বলে প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন। এ নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। তার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সরলীকরণ, বাজার এলাকায় আরসিসি ঢালাই সড়ক সংস্কার। এটি বাস্তবায়ন করছে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কাজের উদ্বোধন ও টাকা বরাদ্দ হলেও সরলীকরণের জন্য এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। গত ২০১৪ সালে সড়কটি সংস্কারের কাজ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। পাইকগাছা-কয়রা সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নতির জন্য ও ৩৯টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সরলীকরণ ও সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা পাঠান। পরবর্তী সময়ে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিবহন মন্ত্রণালয় হয়ে একনেকের সভায় অনুমোদন হয়। ৬৪.৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘের এ সড়কটির ব্যয় ধরা হয় ৩৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। তার মধ্যে সরলীকরণের ১১ দশমিক ২৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করার জন্য ধরা হয় ৭১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রশস্তকরণের জন্য ২৭ কোটি এবং কালভার্ট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় ১০ কোটি ২৩ লাখ। তা ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ বাজারে আরসিসি ঢালাই থাকার কথা রয়েছে। সড়কটি আগের মতো ১৮ ফুট চওড়া থাকবে ও বাজারের মধ্যে ২৪ ফুট আরসিসি ঢালাই এবং সড়কটি সোজা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে বাজার কেন্দ্রীক রাস্তার উপর বিদ্যুৎ এর খুঁটি রেখে আরসিসি ঢালাই আঞ্চলিক সড়ক করা হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনটি ভাগে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ১৮মাইল বাজার থেকে কাজ শুরু করেন। ইতোমধ্যে ১৮মাইল, তালা, কপিলমুনি, মামুদকাটি বাজার সড়কে আরসিসি ঢালাই কাজ চলছে। কিন্তু সরলীকরণের কাজ বাকি রেখে সড়ক সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বাঁক সরলীকরণের জন্য জমি মাপা হয়েছে। এটি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী বাঁক রেখেই সড়কের কাজ শুরুর কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, রাস্তা শেষ হওয়ার আগেই সরলীকরণসহ সব কাজ শেষ হবে। রাস্তার কাজ ও বাজারের ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু বলেন, কয়রা-পাইকগাছা-১৮মাইল সড়কে বর্তমানে চলাচলে দুর্ভোগ হলেও সড়কটি স্থায়ীভাবে সংস্কার হয়ে গেলে খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, সাতক্ষীরার তালা, আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার এক কোটি মানুষ উপকৃত হবে। তিনি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ধৈর্যধারণ ও সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি অবহেলিত এ জনপদের মানুষের সুষ্ঠু চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে সড়ক উন্নয়নে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দক্ষিণ জনপদের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।