রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিল ভূমিদস্যু মো.ছাবের আলী মন্ডলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি। তিনি যুবলীগের নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। কেশরহাটে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে তার দায়েরকৃত মামলায় শনিবার রাতে মো. সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার উপজেলার কেশরহাটে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেশরহাট পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিল মো. ছাবের আলী মন্ডল রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের দু'পাশে সড়ক ও জনপদ এবং পৌর অফিসের সংলগ্ন কোটি টাকার সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তুলেন দোকাঘর। কেশরহাট মহাসড়কেরর পাশে সড়ক ও জনপদের জায়গায় একটি দোকাঘর ছিল সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তির। বেশ কয়েক মাস আগে কাউন্সিল তার লোকজন নিয়ে ওই দোকানঘর দখন করে নিতে মড়িয়া হয়ে উঠেন। ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ওই সময় উভয় পক্ষ মোহনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন ও কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহীদ উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। ওই সময়ের ঘটনার বিবারণ দিয়ে পৌর কাউন্সিল মো. ছাবের আলী মন্ডল বাদি হয়ে সোহেল রানাসহ কয়েকজনকে আসামি করে আদালতে মালা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে নিদেশ প্রদান। মোহনপুর পুলিশ শনিবারব রাতে মামলা অজু করে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি কেশরহাট পৌরসভার তীলাহারি গ্রামে।
স্থানীয়রা আরও জানান, কাউন্সিল সুযোগ পেলেই সরকারি ও আসহায় মানুষের জায়গা জমি ও দোকানঘর ক্ষমতার দাপদ দেখিয়ে দখল করে নেয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত।
রাজশাহী-৩ ( পবা -মোহনপুর) মো. আয়েন উদ্দিনের ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কাউন্সিল মো. ছাবের আলী কেশরহাট পৌর এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে সরকারি ও সাধারণ মানুষের জায়গা জমি দখল করে নেয়া অনেক অভিযোগ রয়েছে।
কাউন্সিল মো. ছাবের আলী মন্ডল তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমির দখলের মামলায় হয়-তো-বা সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছ।