বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এবার আশানুরূপ ফলন হয়েছে আমন ধানের। দিগন্ত জোড়া মাঠে সোনালী ধানে ভরে উঠেছে কৃষকের আমনের আবাদ। ফলন এবার এতটাই ভালো হয়েছে যে, জমিতে সোনলী ধানের ফসল দেখে, কৃষক-কৃষানীদের মুখে হাসি আর গীত গানে ভরে উঠেছে। এবার ১৪৫ কোটি টাকার আমান ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, এ উপজেলার চাষীরা অধিক হারে জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করেছিলেন। একেবারে নিচু জমি থেকে শুরু করে উঁচু জমি পর্যন্ত আমন ধানের আবাদ করেছেন চাষীরা। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ছাড়াও, বন্যা না হওয়ায় যে যার মতো করে আমন ধানের চারা রোপন করেছিলেন, সে জমি থেকেই আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন। কৃষকেরা আরো বলেছেন, গত দুই বছরের মধ্যে এবার আমনের ফলন বেশি ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল এবং পোকামাকড়ের ঝক্কি-ঝামেলা কম থাকায় ফলনের মূল কারন। তারা এও বলছেন, প্রতি বিঘা জমি থেকে ১৭ থেকে ১৮ মণ করে ধান পাওয়া যাচ্ছে এবার। উপজেলায় ৯ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এ পরিমাণ জমি থেকে ৫৫ হাজার ৯১২ মে:টন ধান উৎপাদন হবে। এ পরিমাণ ধান বিক্রি করে ১৪০ থেকে ১৪৫ কোটি টাকার ধান উৎপাদন হওয়ার আশা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আনছার আলী বলেন, আমি এবার ৫বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের আমনের আবাদ করেছিলাম। এর মধ্যে গুটি স্বর্ণা, গুটি স্বর্ণা-৫ ও বি.আর-১১ জাতের ধানের আবাদ করেছিলাম। তবে এর মধ্যে বি.আর-১১ ও গুটি স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের আশানুরূপ ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আবদুল হালিম বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে ছিলো, বন্যা না হওয়ায় সময়মত সেচ দিয়ে হলেও কৃষকরা আমনের আবাদ করেছিলেন, এছাড়াও আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা দফায় দফায় সু-পরামর্শ দেওয়ার কারণে আমনের ফলন ভালো হয়েছে।