পুঠিয়ায় ঝলমলিয়া হাই স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আ'লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্কুলের সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন, দুই দফায় চারজন কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়াগত রয়েছে। মুলত মোটা অংকের নিয়োগ বানিজ্যি কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে ঝলমলিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বারকি বলেন,নিয়মনুয়ায়ী স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ দুই বছর। আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান কমিটির মেয়াদ রয়েছে। তবে মেয়াদের একমাস আগে নতুন কমিটি গঠনের বিধান রয়েছে। কমিটিতে সভাপতিসহ মোট ১০ জন থাকবেন। এরমধ্যে ৫ জন অভিভাবক সদস্য। ৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি ও একজন দাতা সদস্য থাকবেন। এবার সিলেকশনের মাধ্যমে সদস্য নির্বাচন করা হয়েছে। আর আগে যিনি সভাপতি ছিলেন,তাকেই উচ্চ পর্যায়ে থেকে ডিও দেয়া হয়েছে। আর নিয়োগ সংক্রান্ত লেন-দেন বা রাজনৈতিক দন্ডের বিষয় আমার জানা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের একাধিক শিক্ষকরা বলেন, গত মাসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কারিগরি শাখায় দুইজন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের পর জেনারেল শাখায় আরো দুজন কর্মচারী নিয়োগ হবে। সম্প্রতি ওই নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আর এই নিয়োগের অর্থ হাতিয়ে নিতে স্থানীয় আ'লীগ ও ছাত্রলীগের একটি পক্ষ নতুন অভিভাবক সদস্যদের মধ্যে বেলাল হোসেন নামের একজনকে সভাপতি করতে চাচ্ছেন। আর ওই পক্ষ বর্তমান স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও পৌর আ'লীগের সভাপতি আবু বক্করকে চাচ্ছেন না। সে কারণে গত শনিবার ১৩ নভেম্বর সকালে স্কুলে উভয় গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তজনা শুরু হয়। সংর্ঘষ এড়াতে সভাপতি আবু বক্কর ওইদিনের পর থেকে আর স্কুলে আসছেন না। স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু বক্কর বলেন, আগামী দুই বছরের জন্য বর্তমান এমপি আমাকে মনোনিত করে ডিও দিয়েছেন। এতে কিছু লোকজন আমাকে মেনে নিতে চাইছে না। তারা আমাকে নাজেহাল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময় স্কুলের কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে,এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্কুলে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে কোনো টাকা লাগে না। সচ্ছতার মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুর রহমান মিঠু বলেন, স্কুলের শিক্ষার মান ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতিকে নিয়ে অনেকেই নাখোশ। শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নে আমরা একজন যোগ্য লোক প্রতিষ্ঠানে আসুক। বিষয়টি আমাদের এমপিকে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, ঝলমলিয়া স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির নিয়ে কী ঝামেলা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে অদ্যাবধি আমার নিকট কেউ কোনো অভিযোগ দেয়ননি। অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।