পাবনার সুজানগর পৌর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী বান্নাই খাল। এক সময়ের স্রোতস্বীনি এই খালটি কালের আবর্তনে মরা ডোবায় পরিণত হয়েছে। তবে যেটুকু খাল অবশিষ্ট আছে সেটুকুও পৌর বাজারের ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যেতে বসেছে।
পৌরসভার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের শেখ জানান, ৬০’র দশক থেকে ৭০’র দশক পর্যন্ত বান্নাই খালটি ছিল স্রোতস্বীনি নদীর ন্যায় প্রবাহমান এবং বেশ গভীর। এক সময় পদ্মা নদীর সাথে বান্নাই খালের সংযোগ থাকায় এলাকাবাসী খালটিকে ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি সেচ এবং মৎস্য আহরণসহ নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেন। কিন্তু ৭০’র দশকের শেষের দিকে বালু ও পলি জমে খালটির সাথে পদ্মা নদীর সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খালটি হারায় তার যৌবন। এর পর কালের পরিক্রমায় এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি খালের কিছু অংশ দখল করে বসতি গড়ে তোলায় বান্নাই খালটি শীর্ণ ডোবায় পরিণত হয়। কিন্তু তারপরও খালটিতে পানি থাকায় মানুষের মুখে মুখে এর অতীত ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু ইদানিং পৌর বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত খালটিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখায় খালের বেশ কিছু অংশ ভরাট হয়ে যেতে বসেছে। সেই সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা পচা দুর্গন্ধে পানি দূষিত হয়ে যাচ্ছে। বান্নাই খালের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা সাবেক পৌর কাউন্সিলর মন্টু শেখ বলেন পৌর বাজারের হোটেল ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ওই খালে হোটেলের উচ্ছিষ্ট খাবার ও অন্যান্য ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখে। পাশাপাশি স্থানীয় কলা ব্যবসায়ীরা বান্নাই খালটিতে তাদের কলার পাতা এবং কাঁদি ফেলে দেয়। ফলে খালটির অনেক অংশ ভরাট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা বলেন শিগগিরই বান্নাই খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।