যশোরের শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়া নদী বন্দরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নৌযান শ্রমিকদের শনিবার থেকে কর্মবিরতি তৃতীয় দিন সোমবার পর্যন্ত চলমান আছে। কর্মবিরতির কারনে এ বন্দরে সকল প্রকার লোড-আনলোড বদ্ধ রয়েছে। ফলে জাহাজ থেকে খালাস না হওয়ায় এখান থেকে সার কয়লাসহ খাদ্যপূর্ন সরবরাহ হয়নি। এতে করে ব্যবসায়ীমহল চরম বিপাকে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অন্যদিকে ভরা মৌসুমে সারের অভাবে কৃষকদের চাষাবাদ চরমভাবে ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এই মোকাম থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকদেও চাষাবাদের জন্য ৬০শতাংশ সার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এছাড়া আমদানীকৃত কয়লা, ভূট্টা,গম,চালসহ বিভিন্ন খাদ্যশষ্য রয়েছে সরবরাহের মধ্যে। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও আমদানীকারকরা বলছেন,তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে না এসে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি অগ্রহণযোগ্য। দীর্ঘদিন থেকে একটি কুচক্রিমহল নওয়াপাড়া নদীবন্দরকে নিয়ে চক্রান্ত করে আসছে। পাশাপাশি এই বন্দরকে অচল করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই কর্মবিরতি আমাদের কাছে মনে হয়েছে। কর্মবিরতির বিষয়ে নওয়াপাড়া গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং ও সেলস্ মিজানুর রহমান জনি বলেন,ব্যবসা-বাণিজ্যের এই মোকামকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে। তিনি বলেন, চাষের এই ভরা মৌসুমে কর্মবিরতির কারনে সার সরবরাহ বন্ধ থাকায় কৃষকরা মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে করে সবশ্রেনীর মানুষ ক্ষতিগ্রাস্ত হচ্ছে। সম্প্রতি নৌযান শ্রমিকদের উপর হামলা-নির্যাতনের অভিযোগে নৌযান শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি পালন করে আসছে। কর্মবিরতির বিষয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন অফিস সচিব নাজমুল হোসাইন জানান, রোববার খুলনায় নৌযান শ্রমিক নেতাদের সাথে মালিক পক্ষের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু বৈঠকে ফল¯্রূত আলোচনা না হওয়ায় আমাদের কর্মবিরতি চলমান আছে। তিনি আরও জানান শ্রমিকদের দাবী পুরন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি আব্যাহত থাকবে।