পড়াশোনার প্রতি অদম্য আগ্রহের বিঘœও বিচ্যূতি ঘটাতে পারেনি ভোলার ৬০ ঊর্ধ্ব বয়সী নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর। এসএসসি থেকে ২১বার পরীক্ষা দিয়ে তিনি বিএপাস ডিগ্রি লাভ করেন। প্রেম যেমন জাত মানেনা, তেমনি বয়সও শিক্ষা অর্জনের অধম্য আগ্রহের বিচ্যূতি ঘটাতে পারেনা। আর পারবেনা এমন দৃঢ় বিশ্বাস নাজিম চৌধুরীর জীবনে। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মৃর্জাকালুর হাসান নগর ইউনিয়নের এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নাজিম চৌধুরীর। মা আমেনা চৌধুরানী। বাবা সেকান্দার মিয়া চৌধুরীর চাকুরীর সুবাধে বাবার সাথে ঢাকার গাজীপুরের জয়দেবপুর নীলের পাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ওই বিদ্যালয় থেকে সাত-আটবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৯৭৮ সালে এসএসসি মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেন। ঢাকা শান্তি নগর হাবিবুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ থেকে ফের সাত-আটবার পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন। অবশেষে ভোলার সরকারি কলেজ থেকে অনুরুপ ভাবে ২০১৬ সালে বিএপাস করেন। কিন্তু তার স্বপ্নছোঁয়া পিএইচডিতে ভর্তি হতে বিএ ডিগ্রি প্রথম বিভাগ অজর্ণ করতে পারেন নি। বিএ ডিগ্রি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি না পাওয়ায় বর্তমানে সে ফের বিএ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অনলাইনে আবেদন করেছেন। তার অনড় বিশ্বাস পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি পেলে বিএ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হবেন এতে পিএইচডিতে ভর্তির অনুৃমতি মেলবে। নাজিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, মেঘনার প্রবল ভাংঙনে মৃর্জাকালুর তার পরিবারের প্রায় ২শত একর জমিসহ বসত ভিটে-মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ব্যাক্তি জীবনে এখনও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। পিএইচডি লাভের স্বপ্নে বিভোর নাজিম উদ্দীন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সংবাদ পাঠকের পদে চাকুরি পেতে আগ্রহি।