রক্ষকই ভক্ষক হয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের ৩১ নং কলকিহারা পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বিদ্যালয়ের গাছ কেটে সাবাড় করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে কলকিহারা পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত চার নভেম্বর কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনটি মেহগনি গাছ কেটে ফেলেন ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। অবশেষে স্থানীয়দের চাপের মুখে গাছগুলো নিয়ে যেতে পারেন নি। স্কুল মাঠের এক কোনায় কাটা গাছ গুলো ফেলে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে,১৯৭৩ সালে ৩১ নং কলকিহারা পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্য ৩০০জন। দীর্ঘদিন আগে স্কুলের মাঠে মেহগনি,ইউ ক্যালিপটাসসহ বিভিন্ন জাতের গাছ রোপণ করা হয়। সেখান থেকে কোন রেজুলেশন কিংবা কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গত ৪ নভেম্বর তিনটি মেহগনি গাছ কাটেন সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। তবে বিদ্যালয় চত্বর থেকে গাছ গুলো অপসারণ করতে পারেনি তিনি। বিদ্যালয় চত্বরেই পড়ে আছে গাছের কাটা অংশ। গাছ কাটার কারণে এলাকাবাসী ও শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৩১ নং কলকিহারা পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনছুরা শারমিন বলেন,যেদিন গাছ গুলো কাটা হয়েছে সেদিন স্কুল বন্ধ ছিলো। সভাপতি কাউকে কিছু না বলেই গাছগুলো কেটেছেন। বিষটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্যই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেই গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
বকশীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাশিদা বেগম বলেন,বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে কোনো প্রকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গাছ কাটার পর প্রধান শিক্ষক আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন। আমি গাছগুলো তার হেফাজতে রাখতে বলেছি। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা বলেন,অনুমতি ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোন গাছ কাটার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।