খুলনার বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মা ,মা যেমন তার সন্তানকে নানা বালা- মুসিবত, বিপদ-আপদ থেকে সন্তানকে রক্ষা করে তেমনি সুন্দরবন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে রক্ষা করে চলেছে।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেয়া ঝড়টি শুরুতে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের দিকে ধেয়ে এলেও পরবর্তী সময়ে কিছুটা গতি হারিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সুন্দরবন এলাকায় আছড়ে পড়ে। ভারতের উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা পেরিয়ে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে যখন ঝড়টি ঢুকে পড়ে, তখনো গতি ছিল ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার! পরবর্তী সময়ে সুন্দরবন অতিক্রম করে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটসহ অন্যান্য উপকূলীয় জেলায় আঘাত হানে। উপকূলীয় সাত জেলায় গাছের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারায় অন্তত ১২ জন। পাশাপাশি বাড়িঘর ধ্বংস ও ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় পৌঁছে বটে কিন্তু সুন্দরবনের বাধা অতিক্রম করতে গিয়ে অনেকখানি দুর্বল হয়ে পড়ে। বুক চিতিয়ে সুন্দরবন বাংলাদেশের উপকূলকে আরো একবার রক্ষা করে। পরে এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বুলবুলের আঘাতে সুন্দরবনের প্রায় ৪ হাজার ৫৮৯টি গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বনের ভেতরে ২ দশমিক ৫৮ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, বাংলাদেশ বন বিভাগের তৈরি প্রতিবেদনে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে কোনো তথ্য নেই (ডেইলি স্টার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯)। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলা সুন্দরবন অঞ্চলে আঘাত হানে। এরইমধ্যে আইলার ১২ বছর পেরিয়ে গেছে। আইলার দুই বছর আগে ২০০৭ সালে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে এ সুন্দরবন অঞ্চলেই আঘাত হেনেছিল বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’। প্রতিবারের মতো সেবারও উপকূলীয় অঞ্চলকে প্রায় বিলীন হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল সুন্দরবন। সরকারি সিডরে প্রাণহানির সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০; যা বেসরকারি হিসেবে অন্তত ১০ হাজার। গোটা সুন্দরবন ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছিল সিডরের তা-বে। শ্বাসমূলীয় এ বনের নানা জায়গায় পশুপাখির মরদেহ চোখে পড়েছে। একইভাবে ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং ২০২১ সালের ইয়াশের গতিও সুন্দরবন রুখে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুন্দরবন যদি বুক চিতিয়ে না দাঁড়াত, তবে এসব ঝড়ে প্রাণহানির সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যেত। সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি হতো।
যুগের পর যুগ সুন্দরবন হয়ে উঠেছে উপকূলীয় মানুষের রক্ষাকবজ। সুন্দরবন উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর রক্ষকের ভূমিকা পালন করে এলেও আমাদের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম এ বনের জীববৈচিত্র্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। বনবিনাশী অব্যাহত কার্যক্রমের প্রভাবে বন্যপ্রাণীর বহু প্রজাতি এরইমধ্যে বিলুপ্তি হয়েছে। বনের পরিবেশগত মান ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। এ যেন রক্ষকের প্রতি ভক্ষকের আচরণ! প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট উভয় কারণেই সুন্দরবন হুমকির মধ্যে পড়ে গেছে। প্রকৃতি সংরক্ষণ-বিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন সুন্দরবনকে ‘বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্য’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যে সুন্দরবনের অবস্থানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অনেক আগেই বিবৃতি দিয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও মিষ্টি পানির সরবরাহ হ্রাস পেয়ে বনে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি তো রয়েছেই। বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় নির্মাণাধীন কয়লাচালিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। ইউনেস্কোর ২০১৬ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, যদি এখানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সচল হয় তাহলে এ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের আরো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও দূষণের জন্য সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থানের ঝুঁকি ত্বরান্বিত করবে।
২০০৭ সালের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, একবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের একটি অংশের উচ্চতা ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। সেখানে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, বনের ওপর নানা ধরনের চাপের কারণে সুন্দরবনের ৫ শতাংশ অঞ্চল ধ্বংস হতে পারে। এরইমধ্যে লোহাচারা দ্বীপ ও দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ সমুদ্রের নিচে তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে ঘোড়ামারা দ্বীপও বর্তমানে অর্ধনিমজ্জিত। গত তিন দশকে (১৯৭৫-২০১০) সুন্দরবনসংলগ্ন কৃষি কার্যক্রম প্রায় ১৭ হাজার ১৭৯ হেক্টর বন ধ্বংস করেছে। চিংড়ি চাষ ধ্বংস করেছে আরো ৭ হাজার ৫৫৪ হেক্টর। কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, অন্যান্য শিল্প প্রকল্প, সুন্দরবনসংলগ্ন ১৫০টিরও বেশি সক্রিয় কারখানা বিশ্বের বৃহত্তম এ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলকে মারাত্মক বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এ বনাঞ্চল ঘূর্ণিঝড় ও সুনামির মতো দুর্যোগের বিরুদ্ধে তার প্রতিরক্ষামূলক জৈবিক ব্যবস্থা হারিয়ে ফেলবে। একই সঙ্গে উপকূলীয় মানুষ পড়বে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে। এরইমধ্যে সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাওয়া জমির কারণে ছয় হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি হুমকির মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।
গত দুই দশকে সুন্দরবনে আগুন লেগেছে অন্তত ২৪ বার, যাতে ৮২ একর বনভূমির গাছপালা পুড়ে গেছে। সর্বশেষ এ বছরের মে মাসে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় লেগেছে। সবচেয়ে বেশি আগুন লেগেছে ২০০৬ ও ২০১৬ সালে। এ দুই বছরে সুন্দরবনে নয়বার আগুন লেগেছে। যাতে প্রায় ১৭ একর বনভূমি পুড়ে গেছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে জানা যায়, আগুন দেয়ার অন্যতম কারণ হলো মাছ ধরা। শুষ্ক মৌসুমে বনের উঁচু অংশে আগুন দিলে বনের মধ্যে পড়ে থাকা পাতা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একই সঙ্গে গাছের গোড়া পুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। বর্ষার পানিতে সেসব খানাখন্দ পানিতে ভরে গেলে সেখানে মাগুর, শিং, কৈসহ নানা ধরনের মাছ ধরা পড়ে। আগুন লাগলে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়ার মতো যন্ত্রপাতি ও জনবল বন বিভাগের নেই। ফলে স্থানীয় ফায়ার স্টেশন ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পৌঁছতে আগুন বহুদূর ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার আরেকটি কারণ অবৈধভাবে মধু আহরণ।
অবৈধ নৌযান চলাচল, অবৈধ গাছ কাটা এবং চোরাচালানের রুটের কারণে এই বৃহত্তম বনাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি পরিলক্ষিত হয়। সুন্দরবনে প্রায় ৩২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, আট প্রজাতির উভচর, ৩২০ প্রজাতির আবাসিক ও পরিযায়ী পাখি এবং প্রায় ৪০০ প্রজাতির মাছ ছাড়াও অগণিত কীটপতঙ্গ দেখা যায়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ২০১০ সালে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পশুর নদের প্রতি লিটার পানিতে তেলের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম। আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ মিলিগ্রামে; যেখানে স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১০ মিলিগ্রাম। তাছাড়া পানিতে তেলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বনের জলজ প্রাণী। নৌযান চলাচল করার রুটে বনের পাশে এখন আর তেমন হরিণ, বানরসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী দেখা যায় না। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় খুলনাসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বিদেশী কাপড় ও মাদক চোরাচালানের রুট হয়ে উঠেছে সুন্দরবন। চোরকারবারিরা এখন সড়কপথ ছেড়ে নৌপথে সুন্দরবনের এ রুট ব্যবহার করছে। এ বছরের মার্চে সুন্দরবনের চরাপুয়া এলাকায় ট্রলারবোঝাই ১৮ কোটি ৬১ লাখ টাকার ভারতীয় শাড়ি-কাপড়ের চালান জব্দ হয়।
সুন্দরবনের প্রধান সম্পদ সুন্দরী গাছ কমছে। গত ২৫ বছরে সুন্দরী গাছ যে পরিমাণ কমেছে, তা প্রায় ৫৪ হাজার হেক্টরের সমান হবে। সহজ করে বলতে গেলে বলতে হয়, গাছ কমে বনে যে পরিমাণ ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে, তার ভেতরে চট্টগ্রামের (১৫৫ বর্গকিলোমিটার বা ১৫ হাজার ৫০০ হেক্টর) মতো তিনটি বড় শহর অনায়াসে ঢোকানো যাবে। গাছ কমতে থাকায় সুন্দরবনের ভেতরে ঘন বনের পরিমাণ গত ২৫ বছরে কমেছে ২৫ শতাংশ। এতে সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অবৈধভাবে জ¦ালানি কাঠ সংগ্রহ, অবাধে ইঞ্জিনচালিত নৌযানের চলাচল, গোলপাতা সংগ্রহসহ বিভিন্ন সম্পদ আহরণের কারণে ভবিষ্যতে সুন্দরবনে গাছের পরিমাণ এবং বনের ঘনত্ব আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ১৯৮৯ সালে সুন্দরী গাছ বনের ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জুড়ে ছিল। ২০১৪ সালে তা কমে গিয়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৯৫ হেক্টর হয়।
সুন্দরবন শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে না; বরং এটি এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ও ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যকেও রক্ষা করে। একই সঙ্গে স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকার জোগান দেয় এ বন। এ কারণেই এ অনন্য অরণ্য রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে হবে। উপকূলীয় স্থল-ব্যবহারের সুষম পরিকল্পনা তৈরির পাশাপাশি সুন্দরবন থেকে কাঠ চুরি বন্ধ করতে হবে। জমি ও বনের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করার জন্য স্থানীয় জেনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। নাগরিক সমাজ ও ওই অঞ্চলের শিল্প-কারখানার সমন্বয়ে বিকল্প জীবিকার সুযোগ তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প হতে পারে। তবে তার আগে সুন্দরবনকেন্দ্রিক মানুষের ভরণপোষণের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে বননির্ভর জীবিকায়ন বন্ধ হবে না। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ও স্থানীয় অধিবাসীদের সমান দায়িত্ব রয়েছে। সুন্দরবনের নানা সমস্যা নিয়ে এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে বনের জমি উজাড় করার মতো মানবসৃষ্ট সমস্যা দূর করতে হবে। এ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা, এনজিও ও ব্যাংকগুলোর অনুদানকে কাজে লাগানো যায়; যা স্থানীয় মানুষের জীবিকায়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
উপকূলীয় অঞ্চল পরিচালনা, উন্নয়ন কৌশল এবং উপকূলীয় অঞ্চল নীতির অংশ হিসেবে সুন্দরবনকে বিবেচনা করতে হবে। সুন্দরবনকে বাঁচাতে সবচেয়ে বড় কাজ হলো, কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করে এ বনকে তার মতো থাকতে দেয়া। এ ক্ষেত্রে সরকারের প্রধান কাজ হবে মানুষের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা। এর মধ্যে রয়েছে নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোকে দূষণমুক্ত রাখা, প্রাণী ও পাখিদের বিরক্ত না করা, ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে নদী দূষণমুক্ত রাখা এবং পণ্যবাহী নৌযান প্রবেশ বন্ধ করা। গাছপালা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। রামপাল বিদুৎকেন্দ্র নিয়ে সরকারের অবস্থান বিবেচনা করার সুযোগ এখনো রয়েছে। বছরের পর বছর আমাদের লোলুপ দৃষ্টি সামগ্রিকভাবে সুন্দরবনের পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। আমরা যদি এ অবজ্ঞা অব্যাহত রাখি তাহলে শিগগিরই প্রকৃতির বিরূপতার মুখোমুখি হতে হবে আমাদের। এ বনকে আমরা যতভাবে বাঁচাতে উদ্যোগ নেব, এ বন তার চেয়ে অনেক গুণ ফিরিয়ে দেবে আমাদের। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সরকার।