রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নকে মডেল হিসাবে গড়ে তুলতে চান বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক। অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে এবারও তিনি নৌকার প্রার্থী হতে চাচ্ছেন। ইতোমধ্যে চতুর্থ ধাপের আগামী ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় অফিস থেকে তিনি দলীয় ফরম উত্তোলন শেষে জমা দিয়েছেন।
শফিকুর রহমান শফিক আ.লীগের দলীয়ভাবে মনোনীত হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০১৬ সালে বিপুল ভোটের ব্যধানে বাউসা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হন তিনি। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি’র সহযোগিতায় অবহেলিত এই অঞ্চলের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মন্দ্রিরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেন।
তিনি বলেন, ইউনিয়নকে ঢেলে সাজাতে হলে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী কাজ করতে হয়। মাস্টারপ্ল্যানের কাজ করতে অনেক সময় লাগে। এজন্য আবারও দলীয়ভাবে মনোনীত হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান। ১৯৭১ সালে আমার পিতা মরহুম হাফিজুর রহমান বাউসা ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বাউসা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে অস্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দিয়ে নয় মাস বাড়ি ছাড়া করা হয়েছিল। ওই সময় বাউসা ইউনিয়ন আ.লীগের হাল ধরার মানুষ ছিল না। আমার পিতা শত বাধা ডিঙিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে আ.লীগের কা-ারী হয়ে দলকে বুকে আকড়ে ধরে সারাটি জীবন কাটিয়েছেন। আমার পিতা ১৯৯৭ সালে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করেন। আমি পিতার আদর্শিক রাজনৈতিক জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তার সন্তান হিসেবে ১৯৯০ সালে আড়ানী ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য, ১৯৯৭ সালে বাউসা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। বর্তমানে আমি বাঘা উপজেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক। ২০১৬ সালে আ.লীগের দলীয়ভাবে মনোনীত হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন হন।