দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন ও দিঘলিয়ার বিভিন্ন পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বলিষ্ঠ উদ্যোগ ও নিরলস প্রচেষ্টার কারণে পরিবেশ বিধ্বংসী মহল কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তাদের নানামুখী উদ্যোগের পাশাপাশি এলাকার রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সচেতন নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে এলে পরিবেশ শত্রুরা আর মাঠে ময়দানে দাঁড়াতে পারবেনা। তারা তাদের নানা পরিবেশ বিরোধী কাজ পরিহার করতে বাধ্য হবে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল আলম, দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আলীমুজ্জামান মিলন, দিঘলিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম এবং বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিঘলিয়ার বিভিন্ন সময়ে সরকার ঘোষিত নদীতে ঝাটকা নিধন বিরোধী ও মা ইলিশের প্রজননকালিন ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা, মাছ শিকারীদের ব্যবহৃত জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করে দেওয়া এবং সরকারি আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা করা একদিকে যেমন ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হয়নি অপর দিকে মাছ শিকারিদের মাঝে সচেতনতার উন্মেষ ঘটেছে। শুধু ইলিশের সময় নয়। যারা নদী ও খালে-বিলে কারেন্ট জাল পাটা দিয়ে দেশি প্রজাতির নানা ধরনের মাছ শিকার করে দেশি প্রজাতির নানা রকম মাছের বংশ বিস্তার রোধ করছে তাদের ব্যাপারে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আলীমুজ্জামান মিলন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম এবং দিঘলিয়ার বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের বলিষ্ঠ ও নিরলস প্রচেষ্টা সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
দিঘলিয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের উপদেষ্টা জিএম আকরাম, দিঘলিয়ার তরুন সমাজ সেবক ও আলোর মিছিলের উপদেষ্টা মোল্লা মাকসুদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, পরিবেশ রক্ষায় ও দেশি মাছ নিধনকারীদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ সত্যই প্রসংশার দাবী রাখে। তাই আমরা দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন এর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
উল্লেখ্য, দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন শুধু মাছের ক্ষেত্রে নয়, অতিথি পাখি নিধন রোধ, সবুজ বনায়ন তৈরি, বাল্য বিবাহ রোধ, বন্য প্রাণী সংরক্ষণে বলিষ্ঠ উদ্যোগ নিয়েছেন। যা দিঘলিয়া উপজেলাবাসীর ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রশংসা ও সাড়া জাগিয়েছ।