ভৈরবে গৃহবধু শারমিন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল ভৈরব। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দূর্জয় মোড়ে শতশত নারী পুরুষ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এলাকাবাসী।
শশূর শাশুড়ির নির্মম নির্যাতনে শারমিনের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিত পারছিলেননা হতদরিদ্র বাবা মা। মেয়ের করুন মৃত্যুর কথা মনে করে বার বার মুর্ছা যেতে থাকে মানবন্ধনে এসে নিহত শারমিনের বাবা মা।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, গৃহবধু শারমিনকে শ^শুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ সময় তারা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।
জানা যায়, গত ৯ মাস পূর্বে নরসিংদীর জেলার বেলাব উপজেলার সররাবাদ গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে প্রবাসী নাদিম মিয়ার সাথে বিয়ে হয় ভৈরবের শিবপুর ইউনিয়নের টান কৃঞ্চনগরের গোলাপ মিয়ার মেয়ে শারমিনের সাথে। বিয়ের দু মাস পর নাদিম বিদেশে চলে যায়। এরপর থেকে শশূর শাশুড়ি যৌতুকের টাকার জন্য গৃবধু শারমিনকে শারীীরক মানসিক ভাবে নিয়ৃাতন করে আসছি। এরই জের ধরে গত ৬ নভেম্বর, নরসিংদীর জেলার বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ গ্রামে গৃহবধু শারমিন আক্তারের (১৯) মরদেহ গোয়াল ঘরে পড়ে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। নিহত শারমিন আক্তারের পরিবারে দাবি, যৌতুকের জন্য পরিকল্পিতিভাবে শ^শুরবাড়ির লোকজন গৃহবধু শারমিনকে হত্যা করে।
এঘটনায় নিহত গৃহবধুর বাবা গোলাপ মিয়া বাদী হয়ে পরদিন ৭ নভেম্বর নরসিংদীর জেলার বেলাব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় গৃহবধুর শ^শুর ফিরোজ মিয়া ((৬০), শ^াশুরী সাহারা বেগম (৫৫), ইলিয়াছ (৩৫), চাঁদনী বেগম (২৩)সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযুক্ত শ^শুর ও শ^াশুরী দাবি করেন, পুত্রবধু শারমিন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে নরসিংদীর বেলাব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন,নিহতের পরিবারের প্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দয়ের কধা হয়েছে। এর মাঝে আমরা দুইজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি,তবে তদন্ত এগুচ্ছে এবং আইনের কাজ অব্যাহত আছে।