গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় হাত কেটে হাসান আলী (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় দুই জামায়াত নেতাসহ আটজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও তা অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি (প্রচার) আবু তালেব, আবদুর রউফ, মো. জালাল, গোলাম মোস্তফা, শাহ আলম, ফারুক মিয়া ও মিজানুর রহমান। এদের মধ্যে আবু তালেব ও মিজানুর রহমান পলাতক।
হাসান আলী হত্যা মামলার রায়ে আটজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মদ।
হাসান আলী হত্যা মামলার অপর আট আসামিকে খালাস দেন আদালত। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- এম এ মালেক, লুৎফর রহমান, আবু বক্কর, রফিকুল ইসলাম, আবদুর রহিম, আবু বকর মিয়া ও শফিকুল ইসলাম।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে পলাশবাড়ী আদর্শ (ডিগ্রি) কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পলাশবাড়ী উপজেলার সুইগ্রাম ও আমবাড়ী গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা জড়িয়ে পড়ে। এর জেরে একই বছরের ২২ আগস্ট বেলা ১টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ী গ্রামের হাসান আলীর ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ সময় তারা তার ডান হাত কেটে ফেলে। পরে তাকে তার স্বজনেরা বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান।
এ ঘটনার দুইদিন পরে ২৪ আগস্ট হাসান আলীর বড় ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় পলাশবাড়ী জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম, আবু তালেবসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে বাবর আলী নামের এক আসামি মারা যান।
আাসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিরাজুল ইসলাম, আবদুল হালিম প্রামাণিক ও শিশির মনির। সিরাজুল ইসলাম জানান, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।