বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেনী সরকারি কর্মচারী সমিতির ১০দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চতুর্থ শ্রেনীর সরকারি কর্মচারী সমিতি দিনাজপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছে।
বৃহস্পতিবার সংগঠনের দিনাজপুর জেলা নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে সরকারি কর্মচারীদের নিকট এই লিফলেট বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেনী সরকারি কর্মচারী সমিতি দিনাজপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদ হোসেনের নেতৃত্বে সিনিয়ন ভাইস চেয়ারম্যান (১) মোঃ শাহাজাহান আলী অর্থ সচীব মোঃ আবদুর রহমান, রহমত আলী, উপদেষ্টা বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সহ সভাপতি মোঃ রায়হার কবির, ইমরান পারভেজ, মোঃ ইমরান আলী, আলহাজ¦ মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ আলমগীর হোসেন, জেসমিন আক্তার, শাহীদা খাতুন সহ জেলা নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে সরকারি কর্মচারীদের নিকট গিয়ে এই লিফলেট বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেনী সরকারি কর্মচারী সমিতি দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদ হোসেন বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের নি¤œ আয়ের সরকারি কর্মচারীরা দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। এই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্তৃক প্রেরিত ১০দফা দাবী অবিলম্বে আমরা বাস্তবায়ন চাই।
দাবীগুলো হলো, ৯ম জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করে বেতন বৈষম্য দূরীকরণার্থে ১.৫ হারে বেতনস্কেরে নির্ধারন করতে হবে এবং বেতন কমিশনে ৪র্থ শ্রেনী সরকারি কর্মচারী সমিতির প্রতিনিধি রাখতে হবে। দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে বর্তমান বাজার দরের সাথে সংগতি রেখে ৪০ভাগ মহার্ঘভাতা প্রদান করতে হবে এবং জরুরী ভিত্তিতে পুলিশের ন্যায় রেশনিং ব্যাবস্থা চালু করতে হবে। আউটসোসিং নিয়োগ প্রথা বাতিল করে আউটসোর্সিং ও প্রকল্পে নিয়োগকৃত সকল জনবল রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে এবং দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিত করতে হবে। নার্সদের ন্যায় পোষাকের টাকা বেতনের সাথে প্রদান করতে হবে এবং বিভিন্ন হাসপাতাল সমূহে সর্দার পদবীর পরিবর্তে সুপারভাইজার নামকরণ করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে রেলের ন্যায় ৪০ভাগ পোষ্য কোটা সংরক্ষণ রাখতে হবে। পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন উত্তোলনের সুবিধাসহ পেনশন গ্র্যাচুয়িটির হর ১ টাকায় ৫০০/-টাকা, নির্ধারণ করতে হবে এবং টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুর্নবহাল করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের সুদমুক্ত গৃহঋন প্রদান করতে হবে। সরকারি হাসপাতাল সহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে। বাড়িভাড়া ৮০ভাগ, চিকিৎসা ভাতা ৩ হাজার টাকা, শিক্ষা ভাতা ২ হাজার টাকা, যাতায়াত ভাতা ১৫শ টাকা, টিফিন ভাতা ৫শ টাকা এবং ধোলাই ভাতা ৫শ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ব্লক পোষ্ট বাতিলসহ শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন সকল ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের ৫০ভাগ পদোন্নতি প্রদান করতে হবে এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিধি লঙ্ঘন করে হয়রানীমূলক বদলি বন্ধ করতে হবে।