বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত বারোটার দিকে গোকুল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়ার একটি বাসার পেছনে এই বোমা সদৃশ্য বস্তু পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের দল স্থানটি ঘিরে রেখেছে। পুলিশ বলছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে।
ঘটনাস্থলের দায়িত্বে থাকা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেদার উদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সামনে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে কোন একটি পক্ষ এই বিষ্ফোরকগুলো মজুদ করেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি এগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ককটেল। উদ্ধার হওয়া ওই ব্যাগে ৬ থেকে ৭ টি ককটেল থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক আবদুল জলিল জানান, আমরা কিছু জানি না। পুলিশ আসার পরে ককটেলের বিষয়টি আমরা টের পেয়েছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই বাড়ির আশপাশে অন্য কোনো বাড়িঘর নেই। বাড়িটির পেছনে ওই জায়গাটি কিছু গাছে ঘেরা ছোট মাঠের মতো। মানুষেরা কম যাতায়াত করে। মাঠের এক কোণে সাদা রঙের ব্যাগটি পড়ে রয়েছে। ভিতরে লাল টেপে মোড়ানো বড় আকারের বোমা সদৃশ্য বস্তুগুলো সাজিয়ে রাখা আছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, আবদুল জলিলের বাড়ির পেছনে বোমা সাদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই আমরা জায়গাটি ঘিরে রেখেছে। ঢাকায় বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর পাঠানো হয়েছে। তারা এলেই বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি আসলে কি, সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।