আবারও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা
সীমান্তে একটি বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর)
ভোরে উপজেলার পানিহাতা ফেকামারীর শেষ সীমানা ও ময়মনসিংহের মায়াগাছি ঝোড়ার
মুখ এলাকা থেকে বন্যহাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে ১০ দিনের
ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে ২টি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। এরআগে গত ৯
নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় আরেকটি বন্যহাতির মৃতদেহ
উদ্ধার হয়েছিল।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন এবং বনবিভাগের
মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধারের
সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে হাতিটি কিভাবে মারা গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত
করে কিছু জানাতে পারেননি।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার উদ্ধার হওয়া বন্যহাতিটি
পুরুষ, বয়স আনুমানিক দুই বছর এবং কেবল দাঁত উঠতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন
ধরে খাদ্যের সন্ধানে পানিহাতার শেষ সীমানা ও ময়মনসিংহের মায়াগাছি ঝোড়ার
মুখ এলাকার পাহাড়ে একটি বন্যহাতির দল অবস্থান নেয়। গত তিনদিন আগে হাতির
দল পানিহাতা সীমান্তে পাহাড় থেকে লোকালয়ে নামে। এ সময় কৃষকের কাঁচা-পাঁকা
ধান, সবজি ক্ষেত নষ্ট করে। পরে স্থানীয়রা মর্শাল জ¦ালিয়ে হাতি তাড়ায়।
বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বলেন, হাতিটির
মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে জায়গাটি মধুটিলা রেঞ্জের আওতায় না, এটা
ময়মনসিংহের গোপালপুর বিটের অধীনে। যদিও কিছু অংশ নালিতাবাড়ী উপজেলায়
পড়েছে। তিনি আরও বলেন, হাতিটির মুখে ও বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁ হয়েছে, আমরা
ধারণা করছি অসুস্থজনিতকারণে মৃত্যু হয়েছে হাতিটির। তবে প্রাণী সম্পদের
তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে কিভাবে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন বলেন, গত কয়েকদিন
ধরে ওই এলাকায় একটি বন্য হাতির দল অবস্থান করছে। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ
থেকে হাতি তাড়াতে কৃষকদের চার্জার লাইট দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মশাল
জ¦ালাতে কেরোসিন তেল বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল
পানিহাতা এলাকার লোকালয়ে নেমে এসে ফসলের ক্ষেতে হানা দিচ্ছিল। স্থানীয়
অধিবাসীরা বন্যহাতির কবল থেকে ক্ষেতের ফসল রক্ষায় চেষ্টা করছিল। এদিকে,
গত ৯ নবেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় বিদ্যুতের ফাঁদে বন্যহাতি
হত্যার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে বনবিভাগ।