বগুড়ার সারিয়াকান্দি-জামালপুরের মাদারগঞ্জ যমুনা নদীর নৌ-রুটে সি ট্রাক ফেরী সার্ভিস সহসায় চালু হচ্ছে না। ইঞ্জিন বিকল হয়ে পরার কারণে ফেরী চলাচল বন্ধ থাকলেও বর্তমানে যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে এই ফেরী সার্ভিস চালু না হওয়ার মূল কারণ বলে জানাগেছে। খুব শ্রীঘ্রই চালু করতে নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের লোকজনেরা তৎপর রয়েছেন। প্রত্যক্ষদোর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে ও ঢাকÑঢোল পিটিয়ে যমুনা নদীর ওই রুটে ফেরী সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়েছিল গত ১২ আগস্ট। নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জামালপুরের সাংসদ মীর্জা আজম ও সারিয়াকান্দি-সোনাতলা এলাকার সাংসদ সাহাদারা মান্নান উপস্থিত থেকে ওই নৌ-রুটে ফেরী সার্ভিস উদ্বোধন করেন। সে সময় যমুনা নদীর দুই পাড়ে স্থানীয়দের মাঝে অনেক আশার আলো দেখা দিয়েছিলো নৌ-রুটটিতে ফেরী সার্ভিস উদ্বোধনের পর। বলা হয়েছিলো এই রুটে ফেরী সার্ভিস চালু হলে কমপক্ষে ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রায় ৮০ কি:মি: পথ কমে যাবে। এছাড়াও যমুনা বহুমুখী সেতুর উপর যানবাহনের চাপ কমবে প্রায় ৪০ ভাগ। কিন্তু সম্ভাবনাময় নৌ-রুটটিতে উদ্বোধনের ১১ দিন পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। ফেরীটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পরায় এ বন্ধের কারন। তবে সম্প্রতি ইঞ্জিন মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু নদীতে ভয়াবহ নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় ওই রুটে ফেরী আর চলছেনা। বর্তমান সি-ট্রাক ফেরী সারিয়াকান্দির চন্দনবাইশা চরের নিকট অবস্থান করছে। স্থানীয়রা বলেছেন, যমুনা নদীর তলদেশে পলি, বালু পরে অনেক স্থানে ডুবো চর দেখা দিয়েছে। এ কারণে ডিঙ্গী নৌকা চালাতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে নৌকার মাঝি-মাল্লাদের। ফেরী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন স্বপন বলেন, এখন পর্যন্ত সারিয়াকান্দি-মাদারগঞ্জ রুটে ফেরী চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় ফেরীটি আপতত বন্ধ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় থেকে ৬ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল রুটটি পরিদর্শন করেছেন, তবে খুব শ্রীঘ্রই চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রেজাউল করিম বলেন, আগামী সোমবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধির আমার অফিসে সভা বসার কথা রয়েছে। আলোচনার পর জানা যাবে রুটটিতে পুনরায় সি-ট্রাক ফেরী চলাচল করা সম্ভব হবে।