দুর্গাপুর পৌর সদরে মোটরসাইকেল ধরা নিয়ে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক ও লাঞ্চিতের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
লাঞ্চিতের শিকার ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সাদেকুল ইসলাম। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গণযোগাযোগ উন্নয়ন সম্পাদক। শনিবার বেলা ১২টার দিকে দুর্গাপুর সদর থানা গেট সংলগ্ন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করলে থানার পুলিশও সর্তক অবস্থান নেয়।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানায়, জেলা পুলিশ ও থানার পুলিশ মিলে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দুর্গাপুর সদর থানা গেট সংলগ্ন মোড়ে চেক পোস্ট বসিয়ে অবৈধ গাড়ি ধরছিলেন। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গণযোগাযোগ উন্নয়ন সম্পাদক সাদেকুল ইসলামের গাড়ি থামাতে বলেন পুলিশ। সাদেক গাড়ি স্ট্যান্ড রেখেই তাঁর কাগজপত্র আছে বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন।
এ সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁর মাথায় হেলমেট না থাকায় গাড়ির চাবি কেড়ে নেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যেই বাক-বিতান্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের এক সদস্য তাকে গলা চিপে ধরার কথা বললে সাদেক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এতে পুলিশও ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা সাদেককে টেনে হেঁছড়ে আটক করে থানা নিয়ে আসেন।
এদিকে, এই ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, দুর্গাপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাবেক পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল খানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থানার সামনে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। অন্যদিকে থানার পুলিশও সর্তক অবস্থান নেন। পরে উভয় পক্ষ বসে ছাত্রলীগ নেতা সাদেককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার পুলিশ।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সামন্য গাড়ি ধরা নিয়ে ওই ছেলেকে আটক ও শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার চোখের সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টা দু’পক্ষ বসে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গণযোগাযোগ উন্নয়ন সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আগে আমার গলা চেপে ধরার হুমকি দেন। পরে ওই পুলিশকে আমি অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়েছি। তিনি বলেন, পুলিশ টেনে হেঁছড়ে লাঞ্চিত করে থানায় নিয়ে গেছেন।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত ওসি নয়ন হাসান বলেন, অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের নিদের্শনা মোতাবেক বিশেষ অভিযান চলছে। সেই প্রেক্ষিতে শনিবার দুর্গাপুর সদর বাজার এ চেক পোস্ট বসানো হয়ে ছিল। সেখানে পুলিশের সাথে ওই ছেলে (সাদেক) বাক-বিতান্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ওই ছেলে পুলিশকে অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়। পরে তাকে থানায় আনা হয়।
তিনি বলেন, সাদেককে কোন ধরনের মারধোর বা লাঞ্চিত করা হয় নি। ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরার এ ঘটনায় থানার বাহিরে স্লোগান দিতে থাকে। পরে উভয় পক্ষ বসে বিষয়টা সমাধান করা হয়েছে। সাদেকও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।