হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌর বাজারের ভেতরে শত কোটি টাকা মূল্যের সরকারি পুকুর অবৈদ দখল মুক্ত করতে ২য় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন ও সহকারি কমিশনার ভ’মি মোঃ মহিউদ্দিন এর নেতৃত্বে এক্সভেটর ও বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে উচ্ছেদ চালায়। এ সময় থানা পুলিশ, উপজেলা সার্ভেয়ার মোঃ শহিদুল ইসলাম, সদর তহশিদার মোঃ মঈনুল ইসলামসহ সংশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকে ২য় দফা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
জানাযায়-মাধবপুর পৌরসভার বাজার প্রতিষ্টার সময় কাটিয়ারা মৌজার ১০২৭ দাগে ১ একর ৩১.৮৭ শতাংশ ভূমির উপর একটি পুকুর খনন করা হয়। পরবর্তীতে পুকুরের চার পাশের মালিকরা আস্তে আস্তে পুকুরের জায়গা অবৈধ ভাবে দখর কওে বহুতল ভবন ও দোকান ঘর নিমার্ণ করে তা মজ্জা পুকুরে পরিণত করে। এবং পুকুরে যাওয়ার রাস্তাগুলো প্রায় বন্ধ করে রাখে। যার ফলে পুকুরটি জনসাধানের ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। এমন কি কয়েকবার বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা রাস্তা না থাকায় ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারিনি। বাজারের ব্যবসায়ী সমাজ বিভিন্ন সময় পুকুরটি খননসহ রাস্তাগুলো পূনঃউদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীতে অদৃশ্য কারনে তা থেকে যায়।
বর্তমান বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এম.পির কাছেও ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজ পুকুরটি খননসহ রাস্তাগুলো পূনঃউদ্ধার করার জন্য দাবি করেন। বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী পুকুরের অবৈধ দখলদারদেও উচ্ছেদ করে তা খনন করে জনসাধারনের ব্যবহারের উপযোগি করে তোলার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মোঃ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান-বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয় যোগদান করার পর পরই তিনি পুকুরটি পরিদর্শন করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে তা জনসাধারনের ব্যবহারের উপযোগি হিসাবে তৈরী করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ দখলদারদের তৈরী করা স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য বার বার আহবান করা হয়। কিন্তু তারা এ গুলো না সরিয়ে অচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেন। ইতিমধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান আবারও শুরু হয়েছে। শতভাগ দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। পুকুরটি খনন, দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে ও পার্ক তৈরী করার জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।
উপজেলার সহকারি কমিশনার ভ’মি মোঃ মহিউদ্দিন জানান-এক ইঞ্চি সরকারী জায়গাও ছাড় দেয়া হবে না। যারা অবৈধ ভাবে দখল করে বহুতল ভবন তৈরী করেছে তাদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। তা সম্পূর্ন না হওয়া পর্যস্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।