কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অনুযায়ী সকাল ১১ টায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির দাবিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে গণঅনশন চলাকালে পুলিশ লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের লাঠিচার্জে মহিলা দলের সভাপতি রিমা জামান সহ ১২ থেকে ১৫ জন বিএনপির সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মী আহত হয়েছে। এসময় পুলিশের ৪ সদস্যও আহত হয়েছে বলে ওসি তদন্ত দাবী করেন। বিএনপির আহতদের মধ্য, যুবদল নেতা, আ্যাডঃ আহসান হাবিব স্বপন, যুবদল নেতা, পারভেজ রেজা লিংকন,মারুফুল ইসলাম,ইলিয়াস হোসেন,এনায়েত হোসেন রাজু,তাতীদল নেতা রফিকুল ইসলামের নাম জানাগেছে। যুবদল সভাপতি, জাহিদ মোল্লা,সাধারণ সম্পাদক জায়েদুল ইসলাম জুয়েল,ছাত্রদল সভাপতি, ফয়জুল মালেক সজীব,ওয়াহিদুজ্জামান সজীব,সোয়ানুর রহমান সোহাগ আহবায়ক পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা, আউয়াল হোসেন, ছাত্রদল নেতা সুজন মৃধাকে পুলিশ অনশন স্হান থেকে আটক করে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম অনশন কর্মসূচীতে লাঠিচার্জ এবং বিএনপির কর্মীদের আটকের বিষয় বলেন,জনগন এবং যানবাহন চলাচলের রাস্তা অবরোধ করে তারা অনশন কর্মসূচি করায় তাদের রাস্তা ছেড়ে দেবার জন্য বলা হয়। তারা অনুরোধ না রেখে রাস্তা অবরোধ করে অবস্হান করে এবং পুলিশের উপর হামলা করলে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। এক পর্যায়ে তাদেরকে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়ায় কয়েকজনকে আটক করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। আটককৃতদের বিরুদ্বে আইনগত ব্যাবস্হা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
জেলা বিএনপি সভাপতি নজরুল মোল্লা বলেন,সকাল ৯ টা থেকে আমরা শান্তিপূর্ণ অনশন কর্মসূচী শুরু করি। এক পর্যায়ে সদর থানার দু'জন ওসির নেতৃত্বে পুলিশ এসে আমাদের ঘিরে ফেলে। রাস্তা ছেড়ে দেবার জন্য বললে আমরা রাস্তার অর্থেক ছেড়ে দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনশন কর্মসূচি পালন করতে থাকি। এক পর্যায়ে অতকির্তে পুলিশ আমাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। আমাদের নেতা-কর্মীদের গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। যুবদল সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক,ছাত্রদল সভাপতি সহ ১০/১২ জনকে গ্রেফতার করে।