খেতেন দুধ ভাত। সংসারও চলছিল ভালো। এক রাতেই সেই সংসার তছনছ করে দিলো চোরেরা। গত শনিবার গভীর রাতে আবদুল খালেকের ৪টি দুগ্ধবতী গরু ও ৪টি বাঁছুর গরু চুরি করে নিয়ে গেছে সংর্ঘবদ্ধ একটি চোর চক্র। পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের বিরাহীম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন থেকে ওই ইউনিয়নে গরু চুরি বৃদ্ধি পেলেও ফিরে পায়নি কেউ। শনিবার রাতে ঘটনায় হতবাক আবদুল খালেক এখন দিশেহারা। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালালেও উদ্ধার করতে পারেনি গরুগুলো।
জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নে গরু চুরি জন্য একটি শক্তিশালী চোর চক্র রয়েছে। যারা দিনের বেলা মানুষের বাড়ি বাড়ি বিভিন্ন ছলনায় গিয়ে গরু ও চুরির স্থান নির্ধারন করে আসেন। পরে গভীর রাতে ওই বাড়ির লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে যানবাহনের মাধ্যমে গরু চরি করে পালিয়ে যান চোর চক্র। শীতকালে এই চুরির সংখ্যা বেঁড়ে যায়। পারুল ইউনিয়নের বিরাহীম গ্রামের মৃত তাহারত উল্লাহর ছেলে আবদুল খালেক দীর্ঘদিন থেকে গরু লালনপালন করতেন। তার খামারে ৪টি বিদেশী জাতের দুগ্ধবর্তী গরু ও ৪টি বাঁছুর ছিল। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ লিটার দুধ বিক্রি করে চলতো আবদুল খালেকের সংসার।শনিবার সেই দুধের গোয়ালে হানা দিয়েছে চোরেরা। রাতে আবদুল খালেক ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়লে গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে ৮টি গরুই নিয়ে যায় চোরেরা। সকালে বিষয়টি টের পান তিনি।
আব্দুল খালেক বলেন, আমি শেষ! গরুর দুধ বিক্রি করে সংসার চালাতাম। এক রাতেই আমি নি:স্ব হয়ে গেলাম। চোরেরা একটি গরুও রেখে যায়নি। আমার গোয়াল এখন গরু শূন্য। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান মিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে সন্দেহজনক কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু গরু পাওয়া যায়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শীঘ্রই চোর সনাক্ত ও গরু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।