কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব গজালিয়া সিলিভার ঘাট নামক স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ বছর বয়সী একটি বাচ্চা হাতির মৃত্যু হয়েছে। ২১ নভেম্বর (রোববার) দিবাগত রাতে এ ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় মেম্বার সিরাজুল ইসলামের মাছের প্রজেক্টে। সকালে মৃত হাতিটি দেখতে পেয়ে বন বিভাগকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে সহকারী বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে কয়েকটি রেঞ্জের বন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি নিশ্চিত হন৷ হাতির মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় ময়না তদন্তের জন্য আনা হয় ভেটেনারী সার্জন। বেলা ১২ টার দিকে রামু উপজেলা প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ শাহজাদা মোহাম্মদ জুলকারনাইনের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক টিম এসে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্ত শেষ করেন৷
তিনি প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শটসার্কিটে বাচ্চা হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজুল ইসলামের মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। রাতে বেলায় চোর তাড়াতে সেখানে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ বসিয় রাখে। সেই তারের ফাঁদে জড়িয়ে হাটিটির মৃত্যু হয়। যদিওবা বিষয়টি সত্য নয় দাবী করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুই বছর ধরে সেখানে কোন মাছ চাষ হয় না। বৈদ্যুতিক তার দেয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে একজন জেলে জানিয়েছেন, তারা কয়েকজন লোক ৩/৪ দিন আগেও সেখানে মাছ আহরণ করেছে। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক প্রান্তোষ চন্দ্র রায় জানান, ভেটেনারী সার্জনরা ময়না তদন্ত করেছে। যদি বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বাচ্চা হাতির মৃত্যু হয়ে থাকে তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইনে মামলা করা হবে।
হাতি হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা রুজু করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।