প্রতিপক্ষ বিদ্রোহী প্রার্থীকে ফাঁসাতে গিয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মজনু মোল্লা তার ব্যক্তিগত মটরসাইকেল চালক মাসুদ ব্যপারী (২৪) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আজ সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ একথা জানানো হয়। এ হত্যার ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেফতারকৃত ৫ জনের মাসুম বিল্লাহকে জেরার মুখে চাঞ্চল্যকর মাসুদ হত্যার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। মাসুমের স্বীকারোক্তিতে পরাজিত প্রার্থী মজনু মোল্লার বাড়ীর পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহার করা প্রচুর দেশীয় ধারালো অ¯্র উদ্ধার করা হয়। এরআগে গ্রেফতারকৃত আরেক আসামি আলআমিন পরিকল্পিত হত্যার পুরো মিশনের ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।
গত ৫ নভেম্বর রাতে নির্বাচনী প্রচারনা শেষে বাড়ী ফেরার পথে মটরসাইকেল চালক মাসুদ ব্যপারী (২৪) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরেরদিন ৬ নভেম্বর সকালে বড় বিঘাই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এর গনি সিকদারের বাড়ির কাছের রাস্তার পাশে মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। নিহত ওই যুবক ৩নং ওয়ােেডর্র আবদুল লতিফ ব্যপারীর ছেলে।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দা অভিযান বাড়িয়ে নিবীড় ভাবে কাজ করে। ১১ নভেম্বর রাতে হত্যার মা¯টার মাইন্ড বেল্লালকে গ্রেফতার করার পর সর্বশেষ ২৩ নভেম্বর ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় মির্জাগঞ্জ থেকে মাসুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে মাসুদ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান মজনু মোল্লার বাড়ীর ডোবা থেকে ১টি চাইনিজ কুড়াল, ২টি চেইনগিয়ার, ২টি বগি রামদা উদ্ধার করা হয়। মামলার অপরাপর আসামীদেরকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য গত ১১ নভেম্বর ২য় ধাপে বড় বিঘাই অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওয়াহিদুজ্জামান মজনু মোল্লা বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফরের কাছে।