পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে একটি প্রভাবশালী বালুখেকো চক্র অপর একটি বালুখেকো চক্রের ওপর গুলি বর্ষণ করেছে। এতে অন্তত ১০জন বালু শ্রমিক আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা এবং রাজবাড়ী জেলার সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর খাসচর পদ্মা এলাকায় ওই গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। আহত বালু শ্রমিকদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল সদর উপজেলার আবু তালেব মোল্লা (৩৫), চাঁদপুর জেলার মোমিন হোসেন (৪২), আলী আকবর (৩৫), ভোলা জেলার মোশারফ হোসেন শেখ (৩৫) ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলার হাবিব শেখ (৩২)কে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা এবং একাধিক সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মা নদীর হাসামপুর, বড়খাপুর, নাজিরগঞ্জ এবং খাসচরপদ্মাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী সদর উপজেলার একটি বালুখেকো চক্র এবং পাবনার সুজানগরের নাজিরগঞ্জ এলাকার একটি বালুখেকো চক্রের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিশেষ করে দীর্ঘদিন পদ্মা নদীর ওই সকল পয়েন্ট রাজবাড়ী সদর উপজেলার বালুখেকো চক্র ও কতিপয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা দখলে নিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নাজিরগঞ্জ এলাকার বালুখেকো চক্র এবং কতিপয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরই একপর্যায়ে তারা পদ্মা নদীর ওই সকল পয়েন্ট তাদের দখলে নেওয়ার লক্ষ্যে ওইদিন দুপুর ২টার দিকে স্বশস্ত্র অবস্থায় পদ্মা নদীর খাসচরপদ্মা এলাকা থেকে বালু উত্তোলনকারী রাজবাড়ী সদর উপজেলার বালুখেকো চক্রের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের গুলিতে ওই ১০বালু শ্রমিক আহত হয়। হামলাকারীরা এ সময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত একটি ড্রেজার এবং বাল্কহেড নিয়ে যায় বলেও আহত বালু শ্রমিক আলী আকবর জানায়। রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহদত হোসেন বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু ঘটনাস্থল পাবনা জেলার সুজানগর হওয়ায় আমি আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারছিনা। একই ধরনের কথা বললেন পাবনার সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন ঘটনাস্থল পদ্মা নদীর রাজবাড়ী সীমা রেখায়। সেকারণে আমি আইনগত কোন ব্যবস্থা নিতে পারছিনা। কাজীরহাট নৌ-পুলিশের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন আমার জানা মতে পদ্মার নদীর যে সকল পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয় তার বেশিরভাগ এলাকা রাজবাড়ী ভৌগলিক সীমা রেখার মধ্যে। পাবনা জেলার মধ্যে নয়।