বগুড়ার গাবতলীতে পুস্পরানী (১৯) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় নেপালতলী ইউনিয়নের কদমতলী দড়িপাড়া গ্রামে। থানা ও এলাবাসী সুত্রে জানাযায়, উল্লিখিত কদমতলী দড়িপাড়া গ্রামের মৃত ইন্দ্রশাহ’র মেয়ে পুস্পরানীকে আড়াই বছর আগে নেপালতলী ইউনিয়নের চামুরপাড়া গ্রামে বিয়ে দেয়। সেখানে ৬ মাস ঘরসংসার করার পর,কদমতলী দড়িপাড়া গ্রামের পরিমল চন্দ্রের ছেলে পলাশ চন্দ্রের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে পালিয়ে এসে বিয়ে করে। পুস্পরানী এবার কদমতলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় সাধারন বিভাগ থেকে অংশ নিয়েছে। ঘটনার দিন ২৩ নভেম্বর সে গাবতলী এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে শেষ পরীক্ষা দিয়ে স্বামী পলাশের বাড়িতে চলে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ঘরের সাথে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে বাড়ির লোকজন হৈ চৈ শুরু করে। পাশেরই একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল সেখান থেকে লোকজন ছুটে এসে, স্বজনদের সহায়তায় লাশ তীর থেকে মাটিতে নামায়। এলাকাবাসী ও পুলিশের ধারনা, দ্বিতিয় স্বামী পলাশ চন্দ্রের সাথে পুস্পরানীর পারিবারিক বিষয় নিয়ে বনিবনা হচ্ছিল না। একারনে পুস্পরানী আত্মহত্যা করতে পারে, অথবা তার স্বামী তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে। পুস্পরানীর মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে পোর্ষ্ট মর্টেমের রিপোর্ট এলেই পুস্পরানীর মৃত্যুর রহস্য উম্মোচিত হবে। থানায় সংবাদ দেয়া হলে, গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়া লতিফুল ইসলামের নির্দেশে এস আই শামীম আহমেদ, রয়েলসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনার স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরদিন ২৪ নভেম্বর তাকে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর স্বামী পলাশ চন্দ্রসহ বাড়ির অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেছে। এব্যপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়া লতিফুল ইসলামের যোগাযোগ করা হলে তিনি লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুস্পরানী আত্মহত্যা করেছে, না তাকে হত্যা করা হয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আশা পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা যাবেনা। এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।