খুলনার পাইকগাছায় এনএসবি ব্রিকস্ এর মালিকের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে অন্য ব্যক্তি ভাঁটা দখল করে পরিচালনা করায় দুইশতাধিক বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত না পাওয়া আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাঁটা মালিক শাহিন প্রায় ৩ কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়লে পাওনাদারদের চাপে এলাকা ছাড়া হয়েছে। এ ঘটনায় পাওনাদাররা শাহিনকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। শাহিনের স্ত্রী সোনালী বেগম ভাঁটা নিয়ে সুষ্ঠ সমাধানের জন্য পাইকগাছা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাকের-আছাদুল সহ ৬জনের নামে অভিযোগ করেন। ফৌ: কা: বি: ১৪৪ ধারা মোতাবেক ২২০/২১ মামলায় উভয় পক্ষকে দখলভিত্তিক স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদালতের নির্দেশ বিবাদীগণ না মেনে ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে সোনালী জানিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার পুরাইকাটীতে শাহিনুর রহমানের এনএসবি ব্রিকস নামে একটি ইট ভাঁটা রয়েছে। ভাঁটা পরিচালনা করতে গিয়ে কয়েক বছরে তিনি প্রায় ৩ কোটি টাকার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ২০২০ সালে শাহিন ভাঁটা পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়ে বিনিয়োগকারীদের ভাঁটা পরিচালনার দায়িত্ব দেন। দুইটি পক্ষ পৃথক ভাবে ভাঁটা পরিচালনা করতে থাকায় জটিলতা দেখা দেয়। তখন থেকে ভাঁটা জবর দখলের পায়তারা চলতে থাকে। এর আগেই শাহিন সৈয়দ মিনারের নিকট ভাটার স্থাপনাসহ সকল সরঞ্জম ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ায় বিষয়ে শাহিনের সঙ্গে একটি সমজতা হওয়ায় মিনারের কাছ থেকে ভাটার দায়িত্ব দিয়ে শাহিন ভাঁটা পরিচালনা করতে থাকে। তবে মাঝ পথে এসে শাহিন ভাঁটা চালাতে ব্যর্থ হয়ে আবারও গা ঢাকা দেয়। এতে বাকী পাওনাদাররা টাকা ফেরত না পেলে পথে বসার উপক্রম হয়। আরও জানা গেছে শাহিন বাখের বাদে বিবাদীগণের নিকট থেকে টাকা ধার স্বরুপ গ্রহণ করে ভাটার মৌসুমে ইট দিয়ে তাহাদের টাকা পরিশোধ করে দিবে। শাহিন ইটভাটায় লোকসান হওয়ায় সময়মত তাদের টাকা পরিশোধ করতে পারে নায়। এ কারণে বিবাদীগণের সহিত শাহিনের নতুন চুক্তি করে পুনরায় বিবাদীগণ ভাঁটা পরিচালনার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা প্রদান করিবে। শাহিন বিবাদীগণদেরকে জামানত স্বরূপ ইটভাটার ৬ (ছয়) বিঘা জমি তাহাদের নামে বায়নাপত্র করে দেয়। বিবাদীগণদেরকে ওই টাকা ফেরত দিলে তারা বায়নাপত্র ফেরত দিবে মর্মে চুক্তি থাকে। কিন্তু শাহিন বিবাদীগণদেরকে বায়নাপত্র করে দেওয়ার পর বিবাদীগণ ওই ৩০ লক্ষ টাকা না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। শাহিনের স্ত্রী সোনালী এ বিষয় ভাটায় গিয়ে বাখেরের সাথে ভাটার বিষয় কথা বলতে চাইলে তাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারধর করিতে উদ্যোত হয়। এদিকে ভাটার স্থাপনা ক্রয়সূত্রে মালিক সৈয়দ মিনার জানান, বাখের নামে এক ব্যক্তি আছাদুল গংদের সহযোগীতায় ভাটার কার্যক্রম শুরু করেছে। আমি ভাঁটা সংক্রান্ত বিষয় তাদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা বিভিন্ন তালবাহানা করে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভাটার দখল নিয়ে অব্যহত ষড়যন্ত্র চলমান থাকায় ভাটায় বিনিয়োগকারী ব্যক্তিদের প্রায় ৩ কোটি টাকা ফেরত না পাওয়ায় আশঙ্খায় ভুগছে। এমতাবস্থায় ভাঁটা মালিকের স্ত্রী সোনালী ভাঁটা সংক্রান্ত বিষয় সুষ্ঠ সমাধান করে দুইশতাধিক পাওনাদারদের বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত দিতে পারে তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।