দ্বিতীয় ধাপে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এবং ৬নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ভোটের ফলা ফল সমান সমান হওয়াতে ২৪ নভেম্বর বুধবার পুণরায় ভোটে গ্রহন করা হয়।
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৫টি বসত ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ৬ জন আহত হয়েছে। আহত ৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্থানীয়, আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুনরায় সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করা হলে সন্ধ্যার পরে বারপাইকা গ্রামের সাধারণ সদস্য মোরগ মার্কার পরাজিত প্রার্থী আজিজুল শাহ’র সমর্থকরা একই গ্রামের বিজয়ী প্রার্থী ফুটবল মার্কার সোহেল মোল্লার সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সময় হামলায় ৬ জন আহত হয়।
বিজয়ী প্রার্থী সোহেল মোল্লা জানান, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে মোরগ মার্কার প্রার্থী আজিজুল শাহ এবং আমার( ফুটবল) নির্বাচনী ফলাফল সমান হওয়ার কারণে ২৪ নভেম্বর বুধবার আবার পুনরায় আমাদের দুজনের মধ্যে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে টিউবয়েল মার্কার আরেক পরাজিত প্রার্থী নাছির শাহ আমাকে সমর্থন দেয়।
প্রার্থী নাছির শাহ জানান, নির্বাচনে মোরগ মার্কার প্রার্থী আজিজুল শাহ পরাজিত হয় এবং বেসরকারি ভাবে ফুটবল মার্কার প্রার্থী সোহেল মোল্লাকে নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়।
নির্বাচনে আজিজুল শাহ পরাজিত হওয়ার পরই তার সমর্থক সোহাগ শাহ, আসাদুল শাহ, রহিম শাহ, শাওন শাহ, রাতুল শাহ, শহিদুল শাহসহ ২০/২৫ জন মিলে বিজয়ী প্রার্থী সোহেল মোল্লার সমর্থক টিউবয়েল মার্কার পরাজিত প্রার্থী নাছির শাহ’র বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে নাছির শাহ, এচাহাক শাহ, শামচুল হক শাহ, শহিদ শাহ ও আলমগীর শাহ’র ঘর ভাংচুর করে।
এসময় পরাজিত প্রার্থী আজিজুল শাহ’র সমর্থকদের হামলায় শহিদুল ইসলাম শাহ, শামচুল হক শাহ, সাহিদা বেগম, সীমা বেগম, মাসিপ শাহসহ ৬ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আহত ৩ জন শহিদুল ইসলাম শাহ, শামচুল হক শাহ, সাহিদা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরাজিত প্রার্থী আজিজুল শাহ জানান, আমাকে জনগন ভোট না দেয়ার কারনেই হয়তো আমি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছি। কিন্তু আমার কোন সমর্থকরা বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও মারধর করেছে কিনা তা আমার জানা নেই।
এঘটনায় বুধবার রাতে বিজয়ী প্রার্থী সোহেল মোল্লার সমর্থক শামচুল হক শাহের ছেলে জুলহাস শাহ বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের ফলাফল পাওয়ার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসত ঘর ভাংচুর করার খবর পেয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দিনকে পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।