রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ছেলে রুবেল রানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাবা আবদুর রহমান দর্জি মেম্বর পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নেই। ফলে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেম্বর নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই ওয়ার্ডে তিনি ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করে নাই। তিনি চকরাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৫টি চর নিয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন পরিষদের চৌমাদিয়াচর নিয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৫১ ও নারী ভোটার ৩০৫ জন।
আবদুর রহমান দর্জি ২০১৬ সালের ৪ জুন নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বদ্বিতায় মেম্বর নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৩ সালে এই ওয়ার্ডে মেম্বর ছিলেন। ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচনে আবারও তিনি বিনাপ্রতিদ্বদ্বিতায় মেম্বর হতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আবদুর রহমান দর্জি বলেন, আমি সব সময় মানুষের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার ওয়ার্ডে কারও কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়িতে গিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করি। ফলে গত নির্বাচনে আমাকে বিনাপ্রতিদ্বদ্বিতায় মেম্বর নির্বাচিত করেন। এবারেও আশা করছি বিনাপ্রতিদ্বদ্বিতায় মেম্বর হচ্ছি।
রুবেল রানা বলেন, আমি চেয়ারম্যান পদে ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আশা করছি আগামী ২৬ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মুজিবুল আলম জানান, রুবেল রানা চেয়ারম্যান পদে এবং আবদুর রহমান দর্জি মেম্বর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চকরাজাপুর ইউনিয়নে আবদুর রহমান ছাড়া কেউই মনোনয়নপত্র দাখিল করেনি। ফলে তিনিই একমাত্র প্রার্থী। কোন প্রতিদ্বন্দ্বিী প্রার্থী না থাকায় তাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকারিভাবে ৭ ডিসেম্বরের পর ঘোষণা করা হবে।
১১ নভেম্বর চতুর্থ ধাপে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২৫ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২৯ নভেম্বর, আপিল দায়ের ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ৩-৫ ডিসেম্বর, প্রত্যাহার ৬ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ ২৬ ডিসেম্বর।
চকরাজাপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৯৫৬ ও নারী চার হাজার ৭৫৪ জন।