ধর্ষণের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে হলে শুধু আইনের কঠোর প্রয়োগও কোনো কাজ হবে না। এর জন্য প্রয়োজন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে যার যার পারিবারিক বলয়ে ধর্মানুশীলনে একনিষ্ঠতা, পোশাকের শালীনতা, অশ্লীল সংস্কৃতি চর্চার পরিবর্তে শিক্ষণীয় বিনোদনমূলক ও শালীন সংস্কৃতি চর্চার প্রচলন নিশ্চিত করা।
দেশে ধর্ষণের একটা সয়লাব শুরু হয়েছে। ধর্ষণ এতটা বাড়ে কেন? ২২ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২১ অর্থবছরের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও রাহাজানির ঘটনা বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ধর্ষণ মামলা ৫ হাজার ৮৪২টি, ২০২০-২১ অর্থবছর বেড়ে ৭ হাজার ২২২টি। নারী নির্যাতন ১২ হাজার ৬৬০টি থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৫৬৭টি। মৃত্যুদন্ডের মতো কঠোর সাজা নির্ধারিত হলে ধর্ষণ নিরুদ্ধ হবে এমনটাই আমরা মনে করছিলাম। মৃত্যুদন্ডের আইনের পর ধর্ষণ বেড়েছে, এমন খবর আমাদের আশাহত করে বৈকি! তাহলে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার কারণ কি বাংলাদেশে বিকৃত মস্তিষ্কসম্পন্ন মানুষ বেড়ে যাওয়া? পাঠক নিশ্চই ভুলে যাননি, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অবাক হওয়ার মতোই একটি ঘটনা ঘটেছিল ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। এক বছর আট মাসের এক শিশু, যে কিনা মায়ের দুধ গ্রহণ করতো সেই শিশুটি শিকার হয়েছে ধর্ষণের। আমরা অবাক হয়েছি বাড্ডায় তিন বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায়। আর উত্তরায় চার বছরের শিশু ধর্ষণে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় আমরা বিস্মিত হই। অনেকে মনে করেন বিচারহীনতা ও বিচারের দীর্ঘসূত্রতার সুযোগে এবং সামাজিক মূল্যবোধ নষ্ট হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। ধর্ষণ প্রতিরোধে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি, তা থেকে বের হতে হবে। কেবল আইন প্রণয়ন নয়, ধর্ষককে দৃষ্টান্তমূলক সাজার আওতায় আনতে হবে। এ দেশে ধর্ষিতারা বিচার পায় না, সমাজচ্যুত হয়। তাই বিচারহীনতায় দিন দিন ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছেই। এ দেশে এমন ঘটনা নতুন নয় অহরহই ঘটছে। কত সংবাদপত্রে জায়গা পায় আবার বাকি সব ঘটনা আড়ালেই থেকে যায়। অধিকাংশ ঘটনায়ই সমাজের বিচারপতিরা অপরাধীর পক্ষ নেয়, উল্টো ভিক্টিম কিংবা তার পরিবারকে ফাঁসিয়ে দেয়। যৌনতা মানুষের জীবনের একটি অন্যতম অধিকার সেটা সবাই জানি। তবে এই যৌনতাকে বিকৃত করে উপস্থাপন কাম্য নয়। আর সেটাই হচ্ছে ধর্ষণ। সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নেওয়া এই ধর্ষণ উঠে এসেছে পাশ্চাত্য দেশগুলোর অসভ্য এক নোংরা সংস্কৃতি থেকে। যা বাংলাদেশে একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপান্তর হয়েছে। নেশাদ্রব্যের মতো স্মার্টফোনের মধ্যে রক্ষিত যৌন সুড়সুড়ি দেয়া বিনোদনসামগ্রী প্রতি মুহূর্তেই ইন্দ্রীয় লালসায় উন্মত্ত করে তুলছে। স্মার্টফোন যত সহজে একজনকে উত্তেজিত করতে পারে, এমনটি এর আগে কোনো যন্ত্র করতে পারেনি। স্মার্টফোন যে যৌন উদ্দীপনা, মাদকতা আনতে পারে অন্য কোনো মাধ্যমে তা সম্ভব না। তার পরিণতি খুবই ভয়ানক। ধর্ষণ! ধর্ষণের পর খুন! দিনের পর দিন আমাদের দেশে এ জাতীয় যৌন অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলছে। এটি নতুন কোনো বিষয় তা নয়, বলা যায় আমাদের সমাজ বাস্তবতার এক করুণ চিত্র। খুন, ধর্ষণ আজকাল এই আধুনিক পৃথিবীর নিত্যনৈমেত্তিক ঘটনা হলেও আমাদের দেশে এর মাত্রা যেন সব বিচিত্রতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কিছু মানুষরূপী নরপশু সভ্যতার ভাবধারাকে পাল্টে দিতে হায়েনার নখ মেলে বসেছে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে থাকছে না বয়স, স্থান, কাল, পাত্র ভেদ। অপসংস্কৃতি আর ভিনদেশি সংস্কিৃতির আগ্রাসন আমাদের সমাজকে কতটা ক্ষতি করছে তা হাল আমলের ধর্ষণের চিত্র দেখলেই বেশ টের পাওয়া যায়। দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ব্যভিচারের চূড়ান্ত প্রকাশ্য ধর্ষণকামিতা। রাত-বিরাতে নয় শুধু, দিন-দুপুরে প্রকাশ্য ধর্ষণের ঘটনাও ঘটছে। শুধু ধর্ষণই নয়, রীতিমতো গণধর্ষণ হচ্ছে। দেশে ধর্ষণের পর নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটছে অহরহ। অপরাধীর সাজা না হলে এ জাতীয় অপরাধ বাড়বে, এটি চির অবধারিত। এ ধর্ষণ শুধু নারীর বিরুদ্ধে নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধ। বিশ্বের যেসব দেশে ধর্ষণ বাড়ছে, দেখা যাচ্ছে ধর্ষণকারীর সাজা না হওয়া তার অন্যতম প্রধান কারণ। এশিয়ার মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশে ধর্ষণের অপরাধ বেশি হয়ে থাকে। পাঠক নিশ্চই মনে আছে ১৯৯৫ সালের বহুল আলোচিত ইয়াসমিন ধর্ষণ হত্যার মধ্য দিয়ে এমন একটি অসহনীয় পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল। এরপর মধুপুরে কিশোরী ধর্ষণ ঘটনা বিশেষভাবে আলোচনায় আসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক চন্দন কুমার পোদ্দার তার বাসার কাজের মেয়ে শুক্লদে (১৫) কে অনেকদিন থেকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিল। লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বলেনি কাজের মেয়ে শুক্লা। কিন্তু দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২৫ জানুয়ারি কাজের মেয়ে শুক্লা ধর্ষকের স্ত্রীকে তার স্বামীর ধর্ষণের ঘটনা জানান। এরপর ধর্ষকের স্ত্রী ও কাজের মেয়ে ওই দিন থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ধর্ষক চন্দন কুমার পোদ্দারকে চট্টগ্রামের লালখানবাজার এলাকার হাই লেভেল রোডের বাসা থেকে আটক করে। গাজীপুর-৪ কাপাসিয়া আসনের সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির কথিত এপিএস কাজল মোলস্না কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও তার স্ত্রীর অমানসিক নির্যাতনের ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। ১৯৯৫ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বিশেষ বিধান আইন করা হয়। পর্যায়ক্রমে ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন করা হয়। ২০০৩ সালে এ আইন আবার সংশোধন করা হয়। ধর্ষণের শাস্তি কত ভয়ানক, তা অনেকেই জানেন না। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ ধারায় ধর্ষণের বিচার হয়। এ আইনে ২০২০ সালে ধর্ষণের সর্বনিম্ন শাস্তি পাঁচ বছরের কারাদ- এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা হয়েছে। ৯(২) উপধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা ওই ধর্ষণপরবর্তী তার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহলে ওই ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-ে দন্ডিত হবে। অতিরিক্ত এক লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে। উপধারা ৯(৩)-এ বলা হয়েছে, যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ফলে ওই নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহলে ওই দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করে, তাহলে ওই ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-ে দন্ডিত হবে ও এর অতিরিক্ত অর্থদন্ড হবে। ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর ও সর্বনিম্ন পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ-ে দন্ডিত হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে। এ দেশে ধর্ষণের পাকাপোক্ত আইন আছে ঠিকই কিন্তু আইনকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আইনের যারা প্রয়োগ করবেন তারা ওই আইনের পথে হাঁটেন না। মামলার চার্জশিট গঠনের সময় ফাঁকফোকর থেকে যায়। তাই শেষে রায়ে ধর্ষিত কিংবা নির্যাতনের শিকার লোকজন সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হন। যৌন নির্যাতন তথা ব্যভিচার সর্ব যুগে সর্ব ধর্ম মতে নিকৃষ্টতম পাপাচার। তন্মধ্যে মুসলিম ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের বিভিন্ন সূরার বিভিন্ন আয়াতে মহান আলস্নাহ ব্যভিচার সম্পর্কিত পাপের ভয়াবহতা ও এর কঠিন পরিণতি সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে মানব জাতিকে সাবধান হতে বলেছেন। মহান আলস্নাহ তায়ালা বলেছেন, তোমরা ব্যভিচারের ধারে কাছেও যেও না, কারণ এটা একটা অশ্লীল এবং জঘন্য পন্থা। এ অপরাধ কোনো দেশে কোনো যুগেই বন্ধ ছিল না। এখনো নেই। কোনো অপরাধ কখনই নিঃশেষ করা যায় না কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যে কোনো মূল্যে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমরা পুরুষরা (সবাই নন) নারীকে মানুষের মর্যাদা দেইনি কখনই। নারীকে বানিয়েছি ভোগের বস্তু। এ মানসিকতা দূর করতে হবে। নারীকে মর্যাদার আসনে বসাতে হবে। পর নারীকে কখনো মা, কখনো বোন, কখনো বা মেয়ে ভাবতে হবে। তাদের ওপর লুলুপ দৃষ্টি নয়, মায়া মমতার দৃষ্টি দিতে হবে। ধর্ষণ রোধের উপায় কি? এ প্রশ্ন কাউকে করলে অনেকেই বলেন, ভালো মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয় না, পোশাকের সমস্যার কারণে মেয়েরা ধর্ষিত হয়। অনেকে আবার বলেন, বেহায়াপনা করে স্বল্প কাপড়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ালে ধর্ষণ হবে না তো কি হবে? আর কোনো আলেম বলবেন, পর্দা প্রথায় ফিরে এলে ধর্ষণ আর হবে না। আবার অনেকে বলবেন, কঠোর শাস্তি দিলে ধর্ষণ কমবে। আমি এসব কোনোটার পক্ষেই নই। সেই মক্কা-মদিনার আরব দেশে পর্দা মানা হয় সেখানেও তো ভূরি ভূরি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তাদের শাস্তি প্রকাশ্য শিরñেদ। কৈ সেখানেও তো ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না। আমাদের দেশ থেকে যেসব অসহায় নারী আরব দেশে যান তাদের অনেকেইতো দেশে অক্ষত ফিরে আসতে পারেন না। তারা কোনো না কোনোভাবে নারীনির্যাতনের শিকার হনই। আমাদের দেশের নারী শ্রমিকরা আরব দেশে গিয়ে পর্দায় থেকেও কেন যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন? যৌন নির্যাতন বন্ধে আগে মানসিকতা বদলাতে হবে। নারী দেখলেই কেন ধর্ষণ করতে হবে? সব দোষ নারীর? সব দোষ পোশাকের? এমন মানসিকতা কেন আমাদের। ধর্মে নারীকে পর্দা করতে বললেও পুরুষদের চোখ অবনত রাখতে বলা বয়েছে। তবে শুধু নারীর দোষ কেন? নারীর রূপ যৌবন পুরুষকে মোহিত করবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই বলে তার ওপর পশুর মতো ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে কেন? ধর্ষণ কমাতে হলে আগে পুরুষের মাঝে মানবিক গুণাবলি জাগ্রত করতে হবে। ধর্ষণরোধে আমাদের সচেতন হতে হবে। অবাধ মেলামেশার সুযোগ, লোভ-লালসা-নেশা, উচ্চাভিলাষ, পর্নো সংস্কৃতির নামে অশ্লীল নাচ-গান, যৌন সুড়সুড়িমূলক বই-ম্যাগাজিন, অশ্লীল নাটক-সিনেমা ইত্যাদি কামোত্তেজনা মানুষকে প্রবলভাবে ব্যভিচারে প্ররোচিত করে তা বর্জন করতে হবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সময়মতো বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা ও যৌনশিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বাজে সঙ্গ ও নেশা বর্জন করতে হবে। পাশাপাশি নারীকেও শালীন হতে হবে। যৌন উত্তেজক পোশাক বর্জন করতে হবে। প্রবল কামোত্তেজনা মানুষকে পশুতুল্য করে ফেলে। ব্যাপকভাবে কামোত্তেজনা সৃষ্টিকারী উপকরণগুলোর কাছাকাছি চলে গেলে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের আর কোনো উপায়ই থাকে না।
ধর্ষণের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে হলে শুধু আইনের কঠোর প্রয়োগও কোনো কাজ হবে না। এর জন্য প্রয়োজন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে যার যার পারিবারিক বলয়ে ধর্মানুশীলনে একনিষ্ঠতা, পোশাকের শালীনতা, অশ্লীল সংস্কৃতি চর্চার পরিবর্তে শিক্ষণীয় বিনোদনমূলক ও শালীন সংস্কৃতি চর্চার প্রচলন নিশ্চিত করা।
আর এটা করতে হলে কেবল রাজনৈতিক বক্তৃতা, আইনের শাসন প্রয়োগ বা ফতোয়া দিলেই চলবে না, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যার যার অবস্থানে থেকে স্কুল-কলেজ মাদ্রাসা-মক্তব-মসজিদ-মন্দির-গির্জা-প্যাগোডার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা সমাজের অন্য বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের সমন্বয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি কঠোর শাস্তির বিধান ও প্রয়োগ নিশ্চত করতে হবে। তবেই ধর্ষণ কমে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
মীর আবদুল আলীম : সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সমাজ গবেষক