উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রকমারি ফসল ফলানোর খ্যাতি রয়েছে সারাদেশ ব্যাপি। এখানকার উৎপাদিত নানা জাতের ফসল ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। মৌসুমের শুরু থেকে হাড়ভাঙা পরিশ্রম পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষকরা। আস্তে আস্তে চোখের সামনেই তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে জমির ধান। এখন সোনারঙা সেই ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামীন জনপদের কৃষকরা। বর্তমানে বাড়ীর আঙ্গিনায় ক্ষেতের কাটা শীষভরা পাকা ধানে কৃষকের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে খুশির ঝিলিক। এখন সে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। উপজেলার বেশকিছু গ্রাম ঘুরে দেখা যায় ধান কাটা ও ঘরে তোলার ব্যস্ত কর্মযজ্ঞের চিত্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কেবলই সোনালী ধান কাটতে ব্যস্ত দিনমজুর কৃষকেরা। এসব দিনমজুরেরা সারাদিন রোদে পুড়ে শীষভরা ধান কেটে গৃহস্তের বাড়ীর আঙ্গিনায় তুলছেন। ক্ষেতভরা ধান গাছের ডগায় থোকায় থোকায় দুলছে পুষ্ট ধান। ধানের শীষ সোনালী রঙ ধারণ করেছে। অনেক ধান আবার পুষ্ট হলেও এখনো কাঁচা রয়েছে।
উপজেলার শটিবাড়ী গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হোসেন জানান, ইতোমধ্যেই তারা রোপা-আমনে মৌসুমের ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন। এসব কাঁচা ধানই বাজারে প্রতি মণ ৯০০ থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। শালফা গ্রমের কৃষক ফরহাদ হোসেন বলেন, এবার আমন মৌসুমে তারা প্রায় ৬ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। তাদের জমিতে গত সপ্তাহ থেকে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল। আর অর্জিত হয়েছে ২২ হাজার ২০০ হেক্টর জমি।