জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এখন জোর করে ভোট নেবেন এই কষ্ট করতে চান না। তারা চান তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি লাঙ্গল মার্কার প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিক। আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চান। বিগত নির্বাচনে বিএনপি আসে নাই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা ভেবে দেখবে।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাস বাসভবনে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি’কে এদেশের জনগণ কয়েক বার ক্ষমতায় এনেছে। এই দুটি দল দেশের মানুষকে সুশাসন দিতে পারে নাই। দলগুলো জনগণের জন্য কাজ করেনি। তাই সাধারণ মানুষ এখন জাতীয় পার্টির কথা ভাবছে। নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক থাকলে আগামীতে আমরা ৩’শ আসনেই প্রার্থী দিব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, রানা আহমেদ সোহেল এমপি, জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ,জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ আবদুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও রংপুর মহানগর যূগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, যুব সংহতি রংপুর মহানগর সভাপতি শাহীন হোসেন জাকির জেলা জাপার প্রচার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন,, জাতীয়, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি রংপুর মহানগর সভাপতি ফারুক মন্ডল, জাতীয় ছাত্র সমাজ রংপুর মহানগর সভাপতি ইয়াসির আরাফাত আসিফুসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমাধিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।