যশোরের কেশবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতিকে পিচ কমিটির সদস্য আখ্যা দিয়ে একটি মহল আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও গৌরীঘোনা ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান এসএম সিদ্দিকুর রহমান শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা না হলেও কেশবপুর উপজেলা ব্যাপী আওয়ামী লীগ নেতারা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোরেসোরেই গ্রুপিং লোবিংসহ এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি গৌরীঘোনা ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থনে ইতোপূর্বে ৪ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমান ্আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গৌরীঘোনা ইউনিয়ন থেকে আমার ছেলে মাসুদুর রহমান মাসুদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে গ্রামাঞ্চলে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে ব্যাপক গণসংযোগ করে চলেছে। ছেলের এ জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে গত ২২ নভেম্বর গৌরীঘোনা গ্রামের মৃত ইউসুপ আলী শেখের ছেলে শেখ সিদ্দিকুর রহমান পরিকল্পিতভাবে আমাকে পিচ কমিটির ইউনিয়নের সদস্য এমনকি স্বাধীনতাকামি মানুষের হত্যাকারি আখ্যায়িত করে কেশবপুর প্রেসক্লাবে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা আমার ও সন্তানদের সম্মানহানিসহ জনপ্রিয়তায় ধস নামানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এতে ভোটাররা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
এদিকে, গত ২০১০ সালের ৯ নভেম্বর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত প্রকাশিত তালিকায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গৌরিঘোনা ইউনিয়নের দশকাহুনিয়া গ্রামের মৃত শেখ এরশাদ আলী ও সন্ন্যাসগাছা গ্রামের মৃত হায়দার আলীর নাম রয়েছে। এছাড়া, আমি যে পিচ কমিটির সদস্য ছিলাম না তা নিশ্চিত করে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ ্আলী প্রত্যয়ন পত্র দেন। ২০১৩ সালের ৩ মার্চ অনুরুপ প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন সাবেক কমান্ডার মো. আনিছুর রহমান খান। তার প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ রয়েছে গৌরিঘোনা গ্রামের মৃত ইউসুপ শেখের ছেলে শেখ সিদ্দিকুর রহমান শান্তি/পিচ কমিটির সদস্য ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, আমার নামের সাথে তার নাম মিল থাকায় তিনি কৌশল হিসেবে এ অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান এসএম সিদ্দিকুর রহমান পিচ কমিটির সাথে জড়িত ছিলেন এমন ধরনের কোন প্রত্যয়নপত্র আমরা কখনও শেখ সিদ্দিকুর রহমানকে দেয়নি। যদি সে এ ধরনের প্রত্যয়নপত্র ব্যবহার করে থাকে তাহলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের স্বাক্ষর ও সীল জাল করে তৈরি করা হয়েছে। শেখ সিদ্দিকুর রহমান যদি এমন কাজ করে থাকেন, তাহলে তাঁর আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গৌরীঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদ, আবুল হোসেন মোল্যা, মনোয়ার রহমান ফকির, আবুল হোসেন সরদার, আরিফ উদ্দিন সরদার, রেজাউল করিম গোলদারসহ একাধিক নের্তৃবৃন্দ।