পাহাড়ে হানাহানি ও ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করতে বিবদমান সকল পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, সমাজকে অস্থিশীল রেখে কখনোই মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়নে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মৎস্যজীবীলীগ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার আহ্বায়ক উদয়ন বড়-য়া সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম নাসির উদ্দিন মানিক, এম এ গাফ্ফার কুতুবী, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আনোয়ার হোসেন, এম এ মোতালেব তালুকদার, শ্রমিকলীগের সভাপতি শামসুল আলম, যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল, সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ জাহানসহ অন্যান্য দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যেকটি দূর্গম এলাকায় মৎস্যজীবিদের ভাগ্যের উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদে মাছ মারা বন্ধকালীন সময়ে যাতে মৎস্যজীবিরা কষ্ট পেতে না হয় তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ভিজিএফের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে। এতে করে তিন মাস মাছ মারা বন্ধকালীন সময়ে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে বসবাস করছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়ন বান্ধব। এ সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে উন্নয়ন হয়নি। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগসহ সব খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
তাই তিনি আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বঙ্গন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি উপস্থিত সকল নেতাকর্মীদের কান খোলা রেখে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অবৈধ অস্ত্রধারীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ যেকোন অপতৎপরতা প্রতিহত করতে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।
প্রতিনিধি সভায় রাঙ্গামাটি জেলার আওতাধীন ১০টি উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।