কোভিট-১৯ এর কারণে অ-প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের আয় কমেছে ৫০ ভাগ। এসব শ্রমিকদের নেই জীবনের নিরাপত্তা। এমনকি ট্রেড ইউনিয়ন করলেও চাকরীচ্যুত হতে হয় এসব শ্রমিকদের।
দেশের শ্রমিকদের মধ্যে অ-প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক রয়েছে ৭৫ ভাগ। যার এক কোটি ১৭ লাখই মৎস্য শ্রম করে থাকে। আর ১৪ লাখ রয়েছে নারী শ্রমিক। ২০১৬-১৭ সালে এ দেশে বেকার ছিল ১১ ভাগ। তা এখন বেড়ে হয়েছে ২৪ দশমিক ৮ ভাগ।
শনিবার বিকেলে বরিশাল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শ্রম আইনের অর্ন্তভূক্তির লক্ষ্যে এডভোকেসী পরিকল্পনা কর্মশালায় বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।
বিলস্ ও এফইএস’র আয়োজনে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট একে আজাদের সভাপতিত্বে ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা কমিটির সভাপতি এসএম জাকির হোসেনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফইএস বাংলাদেশের প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী ইকবাল হোসেন এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী ও জেলে সমিতির সভাপতি ইসরাইল পন্ডিত।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিলস্ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মনিরুল কবির। অন্যান্যের মধ্যে বক্তাব্য রাখেন চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক হাওলাদার, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মোসলেম সিকদার, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহম্মেদ খান, তুষার সেন, জোসনা বেগম প্রমুখ।