রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র করে গুলি ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ওই কেন্দ্রের নাম পাইককান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্র।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন তিনজন। প্রার্থীরা হলো সিরাজুল ইসলাম খান আকরাম (ফুটবল), ইমরুল হাসান খোকন (তালা) এবং তানজিদ হাসান (মোরগ)। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিদ্যালয় ভবন থেকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। ফলাফলে সিরাজুল ইসলাম খান বিজয়ী হন। এ ছাড়া ইমরুল হাসান খান দ্বিতীয় ও তানজিদ হাসান তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। ফলাফল ঘোষণা করার পর পরাজিত প্রার্থীদের সমর্থকেরা ফলাফল মানি না বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে করে কর্মকর্তারা কক্ষের ভেতর প্রবেশ করে দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে তাঁরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছোঁড়ে। বিক্ষুদ্ধ সমর্থকেরা পুলিশের রিকুইজশন করা দুটি গাড়ি (মাহেন্দ্র) ও দুটি মোটর সাইকেলে আগুন দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার সৈয়দ শরাফত আলী বলেন, আমরা সাতটা ৫৫ মিনিটে অগ্নিকান্ডের কথা জানতে পারি। আধাঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুটি মোটর সাইকেল পুরোপুরি ভস্মিভূত ও দুটি মাহেন্দ্র আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর লোকজন কেন্দ্রে হামলা চালায়। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল পরবর্তী এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।